ভারত-পাকিস্তান
যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুনরায় পুরোনো ব্যাখ্যা ভারতের
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৯

ছবি: সংগৃহিত।
‘অপারেশন সিঁদুর’ স্থগিত রাখা বা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল কি না, তা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি ভারত।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) লোকসভায় এ–সংক্রান্ত একাধিক লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভারত তার পূর্ববর্তী অবস্থানই পুনরাবৃত্তি করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মালা রায়, দীপক অধিকারীসহ পাঁচজন সাংসদ জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে কি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল, এ ঘোষণার আগে কি উচ্চ পর্যায়ের কোনো বৈঠক হয়েছিল, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি শুল্কনীতিকে চাপের হাতিয়ার করেছিলেন?
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং লিখিত জবাবে জানান, ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় এবং এটি ছিল দুই দেশের ডিজিএমওদের (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস) আলোচনার ফল। এ উদ্যোগের সূচনা করেছিল পাকিস্তান।
তিনি আরও জানান, ৮ মে ভারতের ‘সামরিক উদ্দেশ্য’ সফল হয়েছিল- পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। ২২ এপ্রিল পেহেলগামকাণ্ড থেকে ১০ মে পর্যন্ত কূটনৈতিক তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল, তবে সেসব ছিল ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যানির্ভর।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সকে জানানো হয়- পাকিস্তান যদি ভারতকে আক্রমণ করে, তাহলে ভারত উপযুক্ত জবাব দেবে। তবে আলোচনায় বাণিজ্য বা শুল্কনীতি সংক্রান্ত কোনো প্রসঙ্গ ওঠেনি বলে স্পষ্ট করেন তিনি।
ভারত পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, ভারত-পাকিস্তান সমস্যার সমাধান শুধুই দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব এবং তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা অগ্রহণযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী নিজে এ অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও অবহিত করেছেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও দাবি করে যাচ্ছেন- ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে তিনিই উদ্যোগ নিয়েছেন এবং দুই দেশের ওপরই শুল্কনীতির চাপ প্রয়োগ করেছেন। তবে ভারত এখনও পর্যন্ত তার এ দাবিকে প্রকাশ্যে ‘মিথ্যা’ বলেনি বা প্রত্যাখ্যানও করেনি। আজকের লোকসভা উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংও সেই স্পষ্টতা দেননি।