লন্ডনে কোরআন পোড়ানো ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত, জরিমানা
ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫ ২০:২৩

ছবি- সংগ্রহ
ইএন ডেস্ক।। লন্ডনে তুরস্কের কনস্যুলেটের সামনে কোরআন পোড়ানো এবং ইসলামবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় তুর্কি বংশোদ্ভূত হামিত কোসকুন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
সোমবার (২ জুন) ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস আদালতের বিচারক জন ম্যাকগারভা তাকে ২৪০ পাউন্ড (প্রায় ৩২৫ মার্কিন ডলার) জরিমানা করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে কোসকুন লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে তুরস্কের কনস্যুলেটের সামনে কোরআনে আগুন দিয়ে চিৎকার করে ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্য করেন। আদালত তার এই কর্মকাণ্ডকে উস্কানিমূলক, অশ্লীল ভাষায় পরিপূর্ণ এবং জনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী বলে রায়ে উল্লেখ করেছে।
বিচারক বলেন, ঘটনাটি ধর্মবিশ্বাসীদের প্রতি ঘৃণা থেকে উৎসারিত বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, কোসকুনের বিরুদ্ধে সরাসরি কোরআন পোড়ানোর জন্য নয়, বরং জনসমক্ষে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে মামলা হয়েছে।
ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের ফিলিপ ম্যাকগি বলেন, তার প্রকাশ্য আচরণ ছিল হয়রানিকর ও শঙ্কাজনক, যা জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।
শুনানিতে উঠে আসে, এক পথচারী ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে দেখা যায় একজন ব্যক্তি কোসকুনের দিকে ছুরি জাতীয় বস্তু নিয়ে এগিয়ে এসে তাকে আঘাত করার চেষ্টা করছেন।
আশ্রয়প্রার্থী ও নাস্তিক হিসেবে পরিচিত কোসকুন দাবি করেছেন, এটি ছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ‘ইসলামপন্থী সরকার’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের একটি রূপ। তার আইনি খরচ বহন করে যুক্তরাজ্যের বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘দ্য ফ্রি স্পিচ ইউনিয়ন (FSU)’ এবং ‘ন্যাশনাল সেক্যুলার সোসাইটি’।
FSU এক বিবৃতিতে এই রায়কে 'গভীর হতাশাজনক' বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, 'যতই আপত্তিকর বা বিতর্কিত হোক, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সকলের থাকা উচিত।'
কোসকুন নিজেও তার দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে “বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ” বলে মন্তব্য করেছেন।
ইএন/এআর।