শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

6090

international

প্রকাশিত

০৯ জুন ২০২৫ ২৩:৫৯

আন্তর্জাতিক

বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্র- চীন বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে লন্ডনে বৈঠক শুরু

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫ ২৩:৫৯

সংগ্রহ

ইএন ডেস্ক: বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসন ও চলমান উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে শুরু হওয়া এই আলোচনায় বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতি দ্বিপক্ষীয় বিবাদ মেটাতে সমঝোতায় পৌঁছাবে এমন প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, এই বিবাদ বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে। ফলে বৈঠকটি নিয়ে সারা বিশ্বের নজর এখন লন্ডনে।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের নেতৃত্বে শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল এবং চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লাইফেংয়ের নেতৃত্বে চীনের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। আলোচ্যসূচির শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি, আধুনিক প্রযুক্তির কাঁচামাল ও চীনের বাজারে মার্কিন পণ্যের প্রবেশাধিকার ইত্যাদি বিষয়।

গত মাসে ওয়াশিংটন ও বেইজিং শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে একটি ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছিল। তবে এরপর একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে উভয় দেশ। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে ফোনালাপের পর আলোচনা পুনরায় শুরু হয়। ওই ফোনালাপকে ট্রাম্প ‘খুব ভালো আলোচনা’ বলে উল্লেখ করেন।

দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর দুই দেশের নেতাদের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম সরাসরি যোগাযোগ। ট্রাম্প বলেছেন, উভয় দেশ একটি ‘অত্যন্ত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ট্রাম্পকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের বিরুদ্ধে নেওয়া নেতিবাচক পদক্ষেপগুলো প্রত্যাহার করা।

এর আগে, গত ১২ মে জেনেভায় আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ ৯০ দিনের জন্য শুল্ক শিথিলের একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছায়। এরপর বিশ্ব শেয়ারবাজারে স্বস্তি ফিরে আসে। যদিও জটিল ইস্যুগুলো এখনো মীমাংসিত হয়নি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন বিরল খনিজ রপ্তানিকে কৌশলগত চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এ রপ্তানি বন্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক চাপও বাড়তে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে চীনকে তাদের শীর্ষ ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা বলছেন, চীনই একমাত্র দেশ, যা অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে পারে।

গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। পাল্টা হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল। পরে অবশ্য উভয় দেশ উত্তেজনা কমাতে সাময়িকভাবে শুল্ক শিথিল করে। পাশাপাশি ওয়াশিংটন আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত অন্যান্য দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, লন্ডনের এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেলে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হবে।