
ছবি: সংগৃহিত।
নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন করে আরেকটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে নবীগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় নাম উল্লেখ করে ১৮৪ জনকে এবং আরও প্রায় ৩ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
নিহত রিমন মিয়ার ছোট ভাই রাজন আহমদ বিধু মামলার বাদী হিসেবে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্যভাবে পাঁচ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। তারা হলে- দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক এম. এ. বাছিত, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছনি আহমদ চৌধুরী, দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার সম্পাদক মো. আলা উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক সেলিম মিয়া তালুকদার, এবং স্টাফ রিপোর্টার জাবেদ ইকবাল তালুকদার।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, দুই সাংবাদিক- আশাহিদ আলী আশা ও সেলিম তালুকদার এর মধ্যে ব্যক্তিগত বিরোধ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি কটূক্তিমূলক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সেলিম তালুকদারের অনুসারীরা আশাহিদ আলী আশাকে নবীগঞ্জের লতিফ সুপার মার্কেট এলাকায় হামলার শিকার করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা হামলাকারীদের দুইজনকে ধরে পুলিশে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম তালুকদারের পক্ষের লোকজন মার্কেটে ভাংচুর চালায়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে পূর্ব তিমিরপুর, পশ্চিম তিমিরপুর, চরগাঁও, আনমনু, নোয়াপাড়া, রাজাবাদ, রাজনগরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়ায়।
মামলার বিবরণে আরও বলা হয়, ৭ জুলাই দুপুরে আনমনু গ্রামে হাজারো মানুষ দেশীয় অস্ত্রসহ সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটায়। সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরও অভিযোগ রয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ কামরুজ্জামান বলেন, 'রিমন হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। নামীয় ১৮৪ জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক হাজার আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।'
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনটি মামলা রেকর্ড হয়েছে- একটি হত্যা মামলা, একটি পুলিশ এসল্ট মামলা এবং একটি হাসপাতাল ভাংচুর সংক্রান্ত মামলা। এসব মামলায় প্রায় ১০ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।