শিরোনাম
লুটপাটে হুমকির মুখে ধলাই সেতু, রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন নির্বাচন ভণ্ডুলে ষড়যন্ত্র করছে পরাজিত শক্তি: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচাতে জালিয়াতির অভিযোগ বিএনপির ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে: মৌলভীবাজারে নাহিদ ইসলাম সুনামগেঞ্জে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় যুবক খু*ন র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে

https://www.emjanews.com/

7685

international

প্রকাশিত

২৬ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৯

আপডেট

২৬ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫১

আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বাড়ছে

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৯

ছবি: সংগৃহিত।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবিতে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘তুরুন আনোয়ার’ (আনোয়ার, সরে যাও)  এই স্লোগানে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। শনিবার সকাল থেকেই বিশেষ করে মারদেকা স্কয়ার ও আশপাশের এলাকায় মানুষের ঢল নামে।

বিক্ষোভকারীরা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছেন। তাদের হাতে থাকা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবির কথা স্পষ্টভাবে উঠে আসে।

ব্লুমবার্গ নিউজের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই বিক্ষোভের মূল কারণ প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারের নানা প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা। ক্ষমতায় আসার আগে দুর্নীতি দমন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবতা ভিন্ন-এমনটাই মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।

‘ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’ নামের সংবাদমাধ্যমটি এই বিক্ষোভ সরাসরি সম্প্রচার করছে। তারা জানিয়েছে, আন্দোলন শুরু হলেও সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আন্দোলন আনোয়ার ইব্রাহিম সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের সংকেত ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন জোটের জন্য এটি রাজনৈতিকভাবে এক কঠিন সময়, যেখানে জনভিত্তি টিকিয়ে রাখাই বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।