শিরোনাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতি, জোবরা গ্রাম পুরুষশূন্য চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মশালমিছিল খুলনায় রূপসা সেতুর বেজমেন্ট থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে দেড় হাজার শিক্ষার্থী আহত, গুরুতর আহত ১০ জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় শেখ হাসিনার বিচার শেষ পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামায়াত কোম্পানীগঞ্জের ওসি বদলী, নতুন ওসি রতন শেখ হাঁস মারার জেরে সাইদুর হত্যা, মূল আসামি ইমরান গ্রেফতার কানাইঘাট সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ সৌদিতে এক সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

https://www.emjanews.com/

8650

art-literature

প্রকাশিত

১৯ আগস্ট ২০২৫ ১৯:২৮

শিল্প সাহিত্য

সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের অনন্য প্রতিভা জহির রায়হান

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫ ১৯:২৮

ছবি: সংগৃহিত।

বাংলাদেশের সাহিত্য ও চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসে জহির রায়হান এক বিরল প্রতিভা। তিনি শুধু চলচ্চিত্র নির্মাতা নন, ছিলেন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সাংবাদিকও।

আজ (১৯ আগস্ট) তার জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক বহুমাত্রিক এই সৃষ্টিশীল মানুষের জীবন ও কর্মকে।

১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট ফেনীর মিজানগরে জন্মগ্রহণ করেন জহির রায়হান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে পড়াশোনা করলেও অল্প বয়স থেকেই রাজনীতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হন।

লেখক হিসেবে তিনি খ্যাতি পান ‘বরফ গলা নদী’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘হাজার বছর ধরে’র মতো উপন্যাসের মাধ্যমে। এর মধ্যে ‘হাজার বছর ধরে’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা সৃষ্টি হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং ১৯৬৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।

সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও রেখেছেন অনন্য স্বাক্ষর। সহকারী পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করে খুব অল্প সময়েই হয়ে ওঠেন দেশের আধুনিক ও সাহসী নির্মাতাদের একজন।

কখনো আসেনি (১৯৬১); কাচের দেয়াল (১৯৬৩); বেহুলা (১৯৬৬); জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)।

এর মধ্যে ’জীবন থেকে নেয়া’ ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের দলিল।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি নির্মাণ করেন প্রামাণ্যচিত্র স্টপ জেনোসাইড, যা বাংলাদেশের গণহত্যার খবর বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে। পরবর্তীতে তিনি লিবারেশন ওয়ার, ইনোসেন্ট মিলিয়ন্সসহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরও কয়েকটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন।

কেবল সাহিত্য বা চলচ্চিত্র নয়, সমাজ ও রাজনীতির প্রতিও ছিল তার দায়বদ্ধতা। স্বাধীনতার পরপরই এই শিল্পীর রহস্যজনক নিখোঁজ হওয়া আজও এক ট্র্যাজেডি হয়ে আছে।

তবুও তার সৃষ্টিকর্ম আজও জীবন্ত, আজও অনুপ্রেরণার উৎস। জহির রায়হান দেখিয়েছিলেন- সাহিত্য ও সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, বরং সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী হাতিয়ারও হতে পারে।