ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ২০২১-২২ মৌসুমের পর আবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। মূল লক্ষ্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিভাবান ফুটবলারদের খুঁজে বের করা।
৩০ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে সিনিয়র ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ের তিনটি টুর্নামেন্টে প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুটবলার। শুধু বড়দের টুর্নামেন্টেই হবে প্রায় ১১২টি ম্যাচ।
গতকাল বাফুফে ভবনে ফিকশ্চার প্রকাশ ও লোগো উন্মোচনের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে সহসভাপতি ও চ্যাম্পিয়নশিপ কমিটির প্রধান ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শুধু ঢাকায় টুর্নামেন্ট করলে তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না। আমরা চাই গ্রাম-জেলা পর্যায় থেকে নতুন প্রতিভা বের করতে।’
জাতীয় দলের সাবেক গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম, ২০০৩ সাফজয়ী দলের বিপ্লব ভট্টাচার্য ও জাহিদ হাসান (এমিলি) জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়েই উঠে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মতো এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ৮০-৯০-এর দশকে জেলা পর্যায়ের ফুটবলাররা ঢাকার ক্লাবগুলোতে খেলা শুরু করেছিলেন। জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘সেই সময় টুর্নামেন্ট চলাকালে গোটা দেশে ফুটবলের উৎসবের আবহ থাকত। অনেক প্রতিভা এখান দিয়েই উঠে এসেছে।’
বাফুফে এবারও সেই পথেই হাঁটছে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে হবে-
আন্তজেলা হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (সিনিয়র) অনূর্ধ্ব-১৭ ছেলেদের টুর্নামেন্ট, অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের টুর্নামেন্ট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো খেলোয়াড় এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না। জেলা পর্যায়ে দল গঠনে কাজ করবে স্থানীয় জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। যেখানে অ্যাসোসিয়েশন সক্রিয় নয়, সেখানে ডিসির সঙ্গে আলোচনা করে অর্গানাইজিং কমিটি গঠন করা হবে।
আটটি বিভাগে বাফুফের চার সদস্যের মনিটরিং সেল থাকবেন। প্রতিভা যাচাইয়ের জন্য ১০-১২ জন জাতীয় পর্যায়ের কোচের বিশেষজ্ঞ প্যানেল থাকবে। তিনটি টুর্নামেন্টের মোট বাজেট প্রায় ১৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১০ কোটি টাকা দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাকি ৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে বাফুফে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ও এএফসি থেকে।
টুর্নামেন্ট শুরু হবে মুন্সিগঞ্জ থেকে। প্রথম দিন শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মাদারীপুরের সঙ্গে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম রাউন্ডে দলগুলোকে আটটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, যা জুলাই আন্দোলনের আট শহীদের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
বাফুফের লক্ষ্য অন্তত ৫০-১০০ ফুটবলার বাছাই করা, যাদের পরবর্তী পর্যায়ে এলিট একাডেমি, বয়সভিত্তিক দল বা জাতীয় দলের ট্রায়ালে নেওয়া হবে।
