
ছবি:শেখ নাসির।
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে পাহাড়, নদী আর সবুজের মিলনে গড়ে উঠেছে এক অপার সৌন্দর্যের ঠিকানা- জাফলং। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পর্যটনকেন্দ্র বছরের সব ঋতুতেই ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে।
জাফলংয়ের প্রকৃতি যেন তুলির আঁচড়ে আঁকা এক জীবন্ত ক্যানভাস। দূর দিগন্ত জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নীলাভ পাহাড়, তার বুক চিরে নামা সাদা মেঘের খেলা আর নিচে সবুজ মাঠ- সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এক মোহনীয় দৃশ্যপট।
সীমান্তঘেঁষা পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জলধারা, জলের বুকে ভাসমান নৌকা আর স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা ভ্রমণকারীদের কাছে তৈরি করে ভিন্নরকম অনুভূতি।
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা- প্রতিটি ঋতুতেই জাফলং সেজে ওঠে নতুন রূপে।
বর্ষায় পাহাড়ি ঝরনার উচ্ছ্বাসে পিয়াইন নদী হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। শীতে নেমে আসে কুয়াশার চাদর, বসন্তে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে সবুজের মেলা।
ভ্রমণকারীরা বলেন, বছরের প্রতিটি সময়ে জাফলংকে নতুনভাবে আবিষ্কার করা যায়।
পর্যটন শিল্পের দিক থেকেও জাফলংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো মানুষ এখানে ভিড় করেন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ফলে স্থানীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হচ্ছে দিন দিন।
প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা শান্তি খুঁজে নিতে চাইলে জাফলং হতে পারে সেরা ঠিকানা। এ যেন সৌন্দর্য, শান্তি আর নির্জনতার এক অনন্য মিলনক্ষেত্র।
জাফলং শুধু একটি ভ্রমণকেন্দ্র নয়, বরং প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের এক জীবন্ত ক্যানভাস।