শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’-এ মৃত্যু ১২৩, নিখোঁজ ১৩০
বাংলাদেশ উপকূলেও জারি ২ নম্বর সংকেত
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৭
ছবি: সংগৃহিত
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ ক্রমেই উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৩০ জন এখনও নিখোঁজ বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে। ঝোড়ো বাতাস ও প্রবল বর্ষণে দেশটির বিচ্ছিন্ন কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাতেও দেখা দিতে শুরু করেছে। দেশের চার সমুদ্রবন্দর-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা-কে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ অবস্থান করছিল- চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৮৮০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে; কক্সবাজার থেকে ১৮৩০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে; মোংলা থেকে ১৭৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে; পায়রা থেকে ১৭৫৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা কিংবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগ বাড়াচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর অত্যন্ত উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে না যেতে এবং উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ তাণ্ডব চালায়। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, কিছু এলাকায় ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে এবং ঝোড়ো বাতাসের তাণ্ডব এখনও চলছে।
