শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

6093

international

প্রকাশিত

১০ জুন ২০২৫ ১২:৪৯

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য সরকারের মামলা

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫ ১২:৪৯

সংগ্রহ

ইএন ডেস্কঃ  লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য প্রশাসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

সোমবার সান ফ্রান্সিসকোর একটি ফেডারেল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েন করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।

রব বন্টা বলেন, 'লস অ্যাঞ্জেলেসে সেনা মোতায়েন ছিল অপ্রয়োজনীয়, বিপরীতমুখী এবং সর্বোপরি আইন বহির্ভূত। প্রেসিডেন্টের হাতে এমন কোনো একতরফা ক্ষমতা নেই যা তাকে রাজ্যের অনুমতি ছাড়া সামরিক শক্তি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।'

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যারামাউন্ট এলাকায় মার্কিন পুলিশ এবং অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) যৌথভাবে অভিযান চালাতে গেলে স্থানীয়দের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। নথিবিহীন অভিবাসীদের আটক অভিযানে ব্যবহৃত কঠোরতা ও আচরণের প্রতিবাদে শুরু হয় সহিংস বিক্ষোভ। ইট, বোতল ও মলোটভ ককটেল ছোড়ার মতো ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পরদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্দেশ দেন ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের। কিন্তু সহিংসতা থামার বদলে আরও বাড়ে। পরে ৯ জুন আরও ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানো হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মার্কিন সংবিধান ও ‘Posse Comitatus Act’ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট কোনো রাজ্যে সেনা মোতায়েন করতে পারেন না, যদি না গভর্নরের সম্মতি থাকে বা বিদ্রোহ/গণবিদ্রোহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একে 'রাজ্যের অধিকার লঙ্ঘন' বলে উল্লেখ করেন।

নিউসাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনার কাছে এখনই এই সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আছে। দয়া করে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করুন।'

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি এক বিবৃতিতে বলেন, 'গভর্নর নিউসাম নিজের মুখ রক্ষার জন্যই এই মামলা করেছেন। এটি দুঃখজনক যে রাজ্যের নিরাপত্তার চেয়ে নিজের আত্মমর্যাদাকে তিনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।'

লস অ্যাঞ্জেলেস ছাড়াও নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি ও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি করেছে।