শিরোনাম
মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ ততই পেছাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল আলবদর রাজাকারবাহিনী একেক সময় একেক কথা বলছে: হাসান মাহমুদ টুকু বেগম জিয়া‌কে স্লো পয়জ‌নিং ক‌রে হ.ত্যা কর‌তেই গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছিল আওয়ামী লীগ: মির্জা আব্বাস জেলা ও মহানগর বিএনপির মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন; আশাবাদ মির্জা ফখরু‌লের বিএনপির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে পৌঁছেছেন পরিবহন ধর্মঘটে ভাঙ্গন: মঙ্গলবার জামায়াতপন্থী মালিকদের গা‌ড়ি চল‌বে জাফলং এর অবৈধ বালু আটক করলেন গ্রামবাসী, ছাড়ালেন প্রশাসন! ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট গড়ালো ৭২ ঘন্টায়

https://www.emjanews.com/

6948

sylhet

প্রকাশিত

০৬ জুলাই ২০২৫ ১০:২৩

আপডেট

০৬ জুলাই ২০২৫ ১১:১৭

সিলেট

দ্বিতীয় দিন

সিলেটে পণ্য পরিবহণে ঢি‌লেঢালা কর্মবিরতি চল‌ছে

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ ১০:২৩

ইমজা নিউজ

সিলেট জেলা পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তায় কোনো প্রকার পিকেটিং বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়নি।

সকাল থেকে কাঁচামালের বিভিন্ন আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, পণ্যবাহী ট্রাক মোটামুটি সবগুলোই আড়তে এসে পৌঁছেছে। ধর্মঘটের কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহন কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে।

সিলেটে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দাবিতে ধর্মঘট করছেন পাথর শ্রমিক-ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিক-মালিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে তারা ধর্মঘট শুরু করেছেন।

সিলেটের ট্রাক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

ধর্মঘটের কারণে সিলেট জেলার অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজেলা সড়কে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো— পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংস অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটকানো বন্ধ, চালকদের হয়রানি এবং বিআরটিএ অফিসে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করা।

সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সিলেটের ট্রাক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা মো. দিলু মিয়া বলেন, “সিলেট জেলার সব মালিক-শ্রমিক এক হয়ে এই আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায় না হলে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির পর আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।”

এদিকে সূত্র দাবি করেছে, রোববার আশুরা এবং সোমবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সিলেট সফর বিবেচনায় আন্দোলন কঠোর করা হয়নি। শনিবার রাতে সব ধরনের পরিবহন নেতৃবৃন্দ এক যৌথ সভায় বসে আন্দোলনের দৃশ্যমান শীতলতা সোমবার পর্যন্ত বিদ্যমান রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার বিকাল পর্যন্ত দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে এ ধর্মঘট গণপরিবহন ধর্মঘট পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে পরিবহন নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।

গত ২ জুলাই (বুধবার) সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন আন্দোলনকারীরা সরকারকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি মানার আল্টিমেটাম দেন। দাবি মানা না হলে তারা ৫ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করবেন বলে জানান।