শিরোনাম
মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ ততই পেছাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল আলবদর রাজাকারবাহিনী একেক সময় একেক কথা বলছে: হাসান মাহমুদ টুকু বেগম জিয়া‌কে স্লো পয়জ‌নিং ক‌রে হ.ত্যা কর‌তেই গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছিল আওয়ামী লীগ: মির্জা আব্বাস জেলা ও মহানগর বিএনপির মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন; আশাবাদ মির্জা ফখরু‌লের বিএনপির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে পৌঁছেছেন পরিবহন ধর্মঘটে ভাঙ্গন: মঙ্গলবার জামায়াতপন্থী মালিকদের গা‌ড়ি চল‌বে জাফলং এর অবৈধ বালু আটক করলেন গ্রামবাসী, ছাড়ালেন প্রশাসন! ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট গড়ালো ৭২ ঘন্টায়

https://www.emjanews.com/

6961

sylhet

প্রকাশিত

০৬ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫১

সিলেট

৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট গড়ালো ৭২ ঘন্টায়

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫১

নগরীর সোবাহানিঘাটের দুপুরের দৃশ্য।

সিলেট জেলা পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট বাড়িয়ে ৭২ ঘন্টা করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সিলেটের ট্রাক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা মো. দিলু মিয়া।

শনিবার শুরু হয়ে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পণ্য পরিবহণ ধর্মঘট। রোববার দুপুরে সিলেট শহরলীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাক-লরি-কাভার্ড ভ্যান মালক শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেন। এছাড়া দুদিনের ধর্মঘটে তেমন কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। শনিবার আশুরা ও ছুটির দিন এবং সোমবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সিলেট সফরকে সামনে রেখে পরিবহণ শ্রমিকদের কর্মবিরতি ঢিলেতালে চললেও, দাবি আদায় না হলে তা সর্বাত্মক পরিবহণ ধর্মঘটে রূপ নিতে পারে বলে হুমকি দিয়ে রেখেনে পরিবহণ নেতারা।

রোববার সকাল থেকে বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা যায়, পণ্যবাহী ট্রাক মোটামুটি সবগুলোই আড়তে এসে পৌঁছেছে। তবে ধর্মঘটের কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহন কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা দেখা যায়।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো: পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংস অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটকানো বন্ধ, চালকদের হয়রানি এবং বিআরটিএ অফিসে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করা।

সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সিলেটের ট্রাক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা মো. দিলু মিয়া বলেন, “সিলেট জেলার সব মালিক-শ্রমিক এক হয়ে এই আন্দোলনে নেমেছেন। ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি ৭২ ঘন্টা করেছি, এর পর আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।”

এদিকে সূত্র দাবি করেছে, রোববার আশুরা এবং সোমবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সিলেট সফর বিবেচনায় আন্দোলন কঠোর করা হয়নি। শনিবার রাতে সব ধরনের পরিবহন নেতৃবৃন্দ এক যৌথ সভায় বসে আন্দোলনের দৃশ্যমান শীতলতা সোমবার পর্যন্ত বিদ্যমান রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার বিকাল পর্যন্ত দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে এ ধর্মঘট গণপরিবহন ধর্মঘট পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে পরিবহন নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।

গত ২ জুলাই (বুধবার) সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন আন্দোলনকারীরা সরকারকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি মানার আল্টিমেটাম দেন। দাবি মানা না হলে তারা ৫ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করবেন বলে জানান।