শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

7254

economics

প্রকাশিত

১৪ জুলাই ২০২৫ ১৭:০০

আপডেট

১৪ জুলাই ২০২৫ ১৭:০২

অর্থনীতি

ভারত-বাংলাদেশ

টানাপোড়েনের মাঝেও আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি আয় বেড়েছে

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১৭:০০

ছবি: সংগৃহিত।

ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা। তবে ভারত থেকে আমদানি অনিয়মিত থাকায় কমেছে রাজস্ব আদায়। এদিকে চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ছয় ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতে নতুন পণ্যের বাজার অনুসন্ধানের পরামর্শ দিয়েছেন বন্দর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সাল থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু রয়েছে। প্রতিদিন হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিকের আসবাব, ভোজ্যতেল, আটা-ময়দা, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পিভিসি সামগ্রীসহ নানা পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে রপ্তানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় হিমায়িত মাছ-যা মোট রপ্তানির প্রায় অর্ধেক।
মূলত আমদানির তুলনায় রপ্তানি বেশি হওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দরকে রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে ধরা হয়। প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয় এ বন্দর দিয়ে। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শুরুতে রপ্তানি কিছুটা ব্যাহত হয়। তখন ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশি পণ্য আমদানি না করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ দেয়। তবে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ফিরে আসে।
আখাউড়া শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আখাউড়া বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৫১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার পণ্য। সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে হিমায়িত মাছ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্লাস্টিকের আসবাব, সিমেন্ট ও পিভিসি সামগ্রী। একই সময়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৭ কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার টাকার জিরা, ডাল ও কাজুবাদাম। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

এর আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এ ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার পণ্য। আর আমদানি হয়েছিল ৭ কোটি টাকার পণ্য, যেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত মে মাসে ভারত সরকার ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফলের জুস, তুলা, প্লাস্টিক, পিভিসি সামগ্রী ও কাঠের ফার্নিচার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসবের মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠ বাদে বাকি সব পণ্যই আখাউড়া বন্দর দিয়ে নিয়মিত রপ্তানি হতো। ফলে রপ্তানি বাণিজ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক শাহনেওয়াজ শানু বলেন, যেসব পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে, তার বেশিরভাগেরই আমাদের অঞ্চলে চাহিদা নেই। তাই আমদানি কম হচ্ছে। আমরা চাই, আমাদের সব পণ্যের আমদানির অনুমতি দেওয়া হোক। এতে করে প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানি সম্ভব হবে, বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নেসার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। আমরা নতুন পণ্যের বাজার খুঁজছি। তবে যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেগুলোর চাহিদা বেশি ছিল। তাই দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকারের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার রীমা আক্তার বলেন, আমরা সবসময় ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বাড়াতে উৎসাহিত করি এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিই। যেহেতু কিছু পণ্যে ভারতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই ব্যবসায়ীদের উচিত নতুন পণ্যের বাজার খুঁজে বের করা। এতে রপ্তানি আরও বাড়বে। তবে সব পণ্যের আমদানির অনুমতির বিষয়ে এখনো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।