শিরোনাম
লুটপাটে হুমকির মুখে ধলাই সেতু, রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন নির্বাচন ভণ্ডুলে ষড়যন্ত্র করছে পরাজিত শক্তি: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচাতে জালিয়াতির অভিযোগ বিএনপির ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে: মৌলভীবাজারে নাহিদ ইসলাম সুনামগেঞ্জে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় যুবক খু*ন র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে

https://www.emjanews.com/

7464

international

প্রকাশিত

১৯ জুলাই ২০২৫ ২১:৪৫

আন্তর্জাতিক

ব্রহ্মপুত্র নদীতে বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে চীন

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫ ২১:৪৫

ছবি: সংগৃহিত।

চীন শনিবার তিব্বতের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র নদী (তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নামে পরিচিত)- তে একটি বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয় এবং এটি চীনের কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য এবং তিব্বতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রধানত দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো হবে, তবে তিব্বতের স্থানীয় বিদ্যুৎ চাহিদাও পূরণ করবে। প্রকল্পের আওতায় মোট পাঁচটি হাইড্রোপাওয়ার স্টেশন নির্মাণ করা হবে, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১৬৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

এই ড্যাম সম্পন্ন হলে এটি মধ্য চীনের বিশ্ববিখ্যাত থ্রি গর্জেস ড্যামকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং ভারতের ও বাংলাদেশের নিচের অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রকল্প শুরুর পর ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, 'আমাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে' এবং চীনকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন নদীর ভাটিতে অবস্থিত দেশগুলোর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিসেম্বর মাসে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, প্রকল্প নদীর ভাটিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং তারা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে।

তবে পরিবেশবাদীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, তিব্বতের মতো পরিবেশগতভাবে স্পর্শকাতর এলাকায় এত বড় অবকাঠামোগত প্রকল্প অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারত ও চীন দুই প্রতিবেশী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী এশীয় পরাশক্তি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিতর্কে জড়িয়ে আছে, যেখানে উভয় পক্ষই ব্যাপক সেনা মোতায়েন রাখে।