শিরোনাম
হবিগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসকসহ চার কর্মকর্তার কারাদন্ড ছদ্মবেশে পুলিশের সফল অভিযান: ধর্ষক আটক নগরীর জল্লারপাড়ে তুচ্ছ ঘটনায় লঙ্কাকাণ্ড পরিবহন শ্রমিক নেতা ফলিক ও রুনু কারাগারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা রিয়াদসহ পাঁচজন আটক, সংগঠন থেকে বহিষ্কার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা, নদীবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত লুটপাটে হুমকির মুখে ধলাই সেতু, রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন নির্বাচন ভণ্ডুলে ষড়যন্ত্র করছে পরাজিত শক্তি: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচাতে জালিয়াতির অভিযোগ বিএনপির

https://www.emjanews.com/

7731

sylhet

প্রকাশিত

২৭ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫২

সিলেট

বিয়ানীবাজারের লাউতা ইউনিয়নে মানববন্ধন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫২

ছবি: সংগ্রহ

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের পাড়িয়াবহর গ্রামে রাস্তা নির্মাণে বাধা, চাঁদা দাবি এবং হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে গ্রামবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা অভিযোগ করেন, নজরুল ইসলাম সিপার ও সাদিক হোসেন এপলু নামে দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এদের বিরুদ্ধে তারা দ্রুত তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মুরব্বি জোয়াদ আলী এবং সঞ্চালনা করেন সাদিকুর রহমান। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ বিশ্বাস। বক্তব্যে জানানো হয়, সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া একটি রাস্তার নির্মাণ কাজ চলাকালে সাদিক হোসেন এপলু এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং তা না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে একাধিক মামলা দিয়ে এলাকাবাসীকে হয়রানি করা হয়।

বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, নজরুল ইসলাম সিপার ভুয়া দলিল, নামজারি ও ভিপি রিলিজের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ বিঘা ভূমির মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন আদালতে মামলা করেছেন। এসব মামলায় তিনি ব্যর্থ হলেও তার মামাতো ভাই সাদিক হোসেন এপলুকে ব্যবহার করে এলাকাবাসীর ওপর হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন। তারা অভিযোগ করেন, সাদিক নিজেকে ভুয়া আইনজীবী পরিচয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এবাদুর রহমান খান, মাসুক আহমদ খান, সুলেমান আহমদ খান, মনির আলী, একলাছুর রহমান, নিতাই দাস, বিধু বিশ্বাসসহ আরও অনেকে। তারা বলেন, কোনো ভূমি বিরোধ হলেই এই চক্র মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিশোধ নেয় এবং সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে।

অভিযুক্ত সাদিক হোসেন এপলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাস্তার জায়গাটি তার পৈতৃক সম্পত্তি, তাই বাধা দিয়েছেন। চাঁদা দাবির অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এলাকাবাসীর একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

লাউতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন জানান, পাকিস্তান আমল থেকে গ্রামবাসী ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। এলাকাবাসীর দাবিতে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।