বৈছাআ’র চাঁদাবাজদের আদালত প্রাঙ্গনে কিল-ঘুষি-লাথি: ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫ ২০:১৭

ছবি: বৈছাআ‘র চার নেতাকে আদালতে নেয়া হচ্ছে।
ঢাকার গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের চার নেতাকে আদালত প্রাঙ্গনে কিল-ঘুষি দিয়েছে ক্ষুদ্ধ জনতা। এর পর আদালতে নেয়া হলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
গ্রেপ্তাররা হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ।
রোববার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিতে শুরু করে। পরে আসামিদের আদালতের চার তলায় নেওয়ার পথে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে জনতা তাদের কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। রিমান্ড শুনানির পর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময়ও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন বলেন, ‘এরা কোনো সাধারণ আসামি নয়। গত বছরের আগস্টের পর থেকে তারা ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসা চিহ্নিত করে চাঁদাবাজি করছিল। এ চক্র ফেসবুকেও চাঁদাবাজির উল্লাস প্রকাশ করেছে।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘তারা শেখ হাসিনার নাম নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে, রিমান্ডে তাদের প্রকৃত সম্পদের তথ্য জানা যাবে।’
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আক্তার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা বাসায় যাওয়ার আগে গুলশান থানায় ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তারা কোনো চাঁদা নিতে যাননি।’
এর আগে শনিবার রাতে গুলশান এলাকা থেকে চাঁদা দাবির সময় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিনই তাদের নিজ নিজ সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।