
ছবি: কর্মবিরতিকালে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকের এ্যাকশন।
ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি, ঘুষ দাবিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিকরা।
রোববার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতির ফলে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, ‘ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত আমাদের হয়রানি করছে। ঘুষ না দিলে মামলা, জব্দ ও অতিরিক্ত জরিমানার ভয় দেখায়। কোনো কারণ ছাড়াই প্রায় ৫২টি অটোরিকশা জব্দ রয়েছে। পাশাপাশি বিআরটিএ অফিসেও লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি লাইসেন্স কার্যক্রমও বন্ধ থাকায় আমরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
অটোরিকশা শ্রমিকদের দাবি, আটক গাড়িগুলো নিঃশর্তভাবে ছেড়ে দিতে হবে, পারমিট অনুযায়ী জেলার সর্বত্র চলাচলের অনুমতি দিতে হবে এবং ট্রাফিক পুলিশের ‘নির্যাতন’ বন্ধ করতে হবে। দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতারা।
ধর্মঘট শুরুর আগের দিন, শনিবার (২৬ জুলাই) শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন সিএনজি মালিক-শ্রমিকরা।
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘ট্রাফিক বিভাগ যানজট নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, কেবল তাদের গাড়িই আটক করা হচ্ছে। বৈধ কাগজ দেখালে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা চাইছে যেন কোনো নিয়মই প্রয়োগ করা না হয়, যা বাস্তবসম্মত নয়। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো প্রতিনিধি আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেননি।’
এদিকে, এ ধর্মঘটের কারণে কর্মস্থলমুখী মানুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।