https://www.emjanews.com/

8628

sylhet

প্রকাশিত

১৮ আগস্ট ২০২৫ ২১:৪৯

সিলেট

সিলেটে ধানক্ষেত থেকে পাথর উদ্ধার

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫ ২১:৪৯

ছবি: সংগৃহিত।

সিলেট সদর উপজেলায় ধানক্ষেতে পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্র্যাশার মিল ও বাড়ির আঙিনা থেকেও পাথর জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার তানভীর হোসাইন সজীব।

এর মধ্যে বিকেলে সদর উপজেলার টিলাপাড়া, রঙগিটিলা, কান্দিপাড়া ও সালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১০০ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, 'পাথর লুটে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে। উদ্ধার করা পাথর পর্যায়ক্রমে সাদাপাথরে প্রতিস্থাপন করা হবে।'

গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের জুমপার এলাকায় সহকারী কমিশনার ফরহাদ উদ্দীন অভির নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ৫০০ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী জানান, বালু দিয়ে ঢেকে রাখা পাথরগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালিবাড়ি ও শিমুলতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে বালি চাপা অবস্থায় ১০ হাজার এবং টিনের বেড়ায় ঘেরা ১৫ হাজার ঘনফুট পাথর পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর থেকেই সিলেটের অন্যান্য কোয়ারির মতো কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীতে প্রকাশ্যে পাথর লুট শুরু হয়। প্রতিদিন শত শত নৌকায় করে এসব পাথর পরিবহন করা হতো। একপর্যায়ে নদীর তীর খুঁড়ে বালুর নিচ থেকেও পাথর উত্তোলন করা হয়। লাগামহীন এই লুটপাটে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রটি ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা এই লুটপাটে জড়িত। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা ছড়িয়ে পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও প্রশাসন নড়ে ওঠে।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট এক নির্দেশনায় সাদাপাথর এলাকা থেকে লুট হওয়া পাথর সাত দিনের মধ্যে উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপনের আদেশ দেন।

এর আগে গত শুক্রবার বিকালে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) মহাপরিচালক মো. আনোয়ারুল হাবীব বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১,৫০০-২,০০০ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় কোটি কোটি টাকার পাথর লুটের অভিযোগ আনা হয়।

ঘটনার পর থেকে বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে বালু ও মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় পাথর উদ্ধার হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় ক্র্যাশার মিল ও বসতবাড়ি থেকেও পাথর জব্দ করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।