কিনব্রিজে মোটরসাইকেল ও হকার নিষিদ্ধ, শুধু হাঁটাচলার জন্য উন্মুক্ত থাকবে - জেলা প্রশাসক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৭
ছবি: সংগৃহীত।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজে আর মোটরসাইকেল চলাচল করা যাবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি জানান, কিনব্রিজে আর হকার বসতে দেওয়া হবে না, এবং ব্রিজটি শুধু হাঁটাচলার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মোটরসাইকেল যাতে সেতুতে উঠতে না পারে, তার জন্য ব্রিজের দুই প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে, যা আগামী শনিবার থেকে কার্যকর হবে।
কিনব্রিজ ১৯৩৩ সালে নির্মিত হয়, যার দৈর্ঘ্য ১,১৫০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। এটি ১৯৩৬ সালে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ভারতের আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল কিনের নামেই সেতুটিকে কিনব্রিজ বলা হয়। লোহার তৈরি লাল ধনুকের মতো বাঁকানো এই সেতু পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয়।
এর আগে, ২০১৯ সালে ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য সেতুটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বছরের ৩১ আগস্ট মধ্যরাতে কিনব্রিজের উভয় প্রবেশপথে লোহার বেষ্টনী স্থাপন করে যান চলাচল বন্ধ করা হয় এবং সেতুর সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লিখা সাইনবোর্ড টানানো হয়। শুধুমাত্র পথচারীরা সেতু ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু যান চলাচল বন্ধের পর, দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ হন এবং তাদের যাতায়াত সুবিধার জন্য এই সেতু দিয়ে যান চলাচল অব্যাহত রাখার দাবি করেন। কিছুদিন পর, বেষ্টনী ভেঙে রিকশা চলাচল শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে প্রায় পুরো বেষ্টনীই গায়েব হয়ে যায়।
আজকের মতবিনিময় সভায় আলী আমজদের ঘড়িঘরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক জানান, সিলেটের যে কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে, তার মধ্যে আলী আমজদের ঘড়ি অন্যতম। ঘড়িঘরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও আপত্তি ওঠায় এটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আশপাশে অন্য কোথাও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
ডিসি সারওয়ার আরও বলেন, চাঁদনীঘাটে সুরমা নদীর তীরে ট্রাক পার্কিং করার ফলে দর্শনার্থীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। তাই এই এলাকায় আর ট্রাক পার্কিং দেওয়া হবে না, এবং আগামী শনিবার থেকে পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হবে।
নগরের সড়ক ও ফুটপাত হকারদের দখলে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, সিটি করপোরেশন ইতিমধ্যেই হকারদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিল এবং একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি আবার কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, ফুটপাত ও সড়ক সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করতে হবে।
