https://www.emjanews.com/

9442

national

প্রকাশিত

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২১

আপডেট

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:১২

জাতীয়

 নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় আরও দুজন গ্রেপ্তার, নিহত রাসেল মোল্লার ঘটনায় মামলা

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২১

ছবি: সংগৃহীত।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও রাসেল মোল্লা (২৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়ার শান্ত কাজী (১৯) এবং ফরিদপুরের সালথা থানার ঘটরকান্দা গ্রামের মোহাম্মদ আনিছুর রহমান (৩০)। শান্ত কাজীকে নিজ এলাকা থেকে রাত সোয়া ১০টায় এবং আনিছুর রহমানকে উজানচর ইউনিয়নের জামতলাহাট এলাকা থেকে রাত সোয়া ১১টায় গ্রেপ্তার করা হয়।

মৃত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে সোমবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় নুরাল পাগলের দরবারে হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, লুটপাট, ক্ষতিসাধন ও জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতেই গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলম চৌধুরীপাড়ার অভি মণ্ডল ওরফে রঞ্জু (২৯) এবং মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড় ঠাকুরকান্দি গ্রামের মুফতি আবদুল লতিফ (৩৫) গ্রেপ্তার হন। আবদুল লতিফ গোয়ালন্দ পৌরসভার বাইতুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদের ইমাম। আদালতে উপস্থিত হলে তিনি হামলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, মামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া নুরাল পাগলার দরবারে হামলার দিন পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

মামলার তথ্যমতে, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ বাজারে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় নুরাল পাগলার দরবারে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ১৫-২০ জনের সংখ্যা নিয়ে দরবারের ভিতরে ঢুকে রাসেল মোল্লাসহ কয়েকজনকে মারধর করে জখম করে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাদী আজাদ মোল্লা জানান, হামলার সময় দরবারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ফলে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চুরির মধ্যে ছিল ৪০ লক্ষাধিক টাকা নগদ, ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ৫৫ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র।