আমি যা করছি, সেগুলো চালিয়ে যেতে হলে আরও সময় দিতে হবে- বুলবুল
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২০

ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম। শুরুতে ধারণা ছিল, সাময়িক দায়িত্ব পালন করে আগামী নির্বাচনের পর সরে দাঁড়াবেন তিনি। তবে তিন মাসের অভিজ্ঞতায় মত বদলেছেন আমিনুল। এখন তিনি বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের সমর্থনও পাচ্ছেন।
সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ভাবনা, বোর্ড পরিচালনায় চ্যালেঞ্জ ও নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
সভাপতি হিসেবে অভিজ্ঞতা
আমিনুল বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়, সমালোচক, পরামর্শক হিসেবে সব সময় ক্রিকেটকে বাইরে থেকে দেখেছি। কিন্তু বোর্ডে এসে বুঝলাম কিছু জিনিস দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিল। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলা, আত্মবিশ্বাস দেওয়া, অর্গানোগ্রামের অভাব পূরণ করা-এসবকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে দল হেরে গেলে দায় সভাপতির ওপর আসা এবং জিতলে কৃতিত্ব দেওয়া-এই সংস্কৃতি আমাকে শকড করেছে।’
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত
শুরুতে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাময়িকভাবে, কিন্তু এখন মনে করছেন দীর্ঘমেয়াদে থাকাই দরকার। ‘নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বুঝলাম, নির্বাচনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের ক্রিকেট। আমি যা করছি, সেগুলো চালিয়ে যেতে হলে আমাকে আরও সময় দিতে হবে।’
সরকার ও আইসিসি প্রসঙ্গ
সরকারের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রতিনিধি সব দেশেই থাকে। আমাদের গঠনতন্ত্রে এনএসসি থেকে দুজন কাউন্সিলর সরাসরি পরিচালক হন। আমি সেই প্রক্রিয়াতেই এসেছি।’
তামিমকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহকর্মী ভাবেন
পরবর্তী সভাপতি হিসেবে তামিম ইকবালের নাম আসায় আমিনুল জানান, ‘তামিমকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। এটাকে প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখি না। দায়িত্ব যিনি পাবেন, দিন শেষে ক্রিকেটটাই যেন ভালো থাকে।’
সভাপতির কাজ কী হওয়া উচিত
আমিনুল মনে করেন, সভাপতির মূল দায়িত্ব নীতি নির্ধারণে সীমাবদ্ধ থাকা। তিনি বলেন, ‘আমি এখন যে কাজগুলো করছি, এগুলো আসলেই প্রেসিডেন্টের কাজ নয়। বোর্ডকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে চাই। ভবিষ্যতে সভাপতির দায়িত্ব শুধু নীতি প্রণয়নে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।’
ফিক্সিং ও দুর্নীতি প্রসঙ্গ
বিপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিক্সিং নিয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সফট সাসপেনশনে যাচ্ছি না। প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে খেলতে বাধা দেব না। তবে ভবিষ্যতে শক্তিশালী দুর্নীতি দমন টিম গড়ে তোলা হচ্ছে।’
দুদকের পর্যবেক্ষণ
বিসিবির আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম নিয়ে দুদকের চিঠির বিষয়ে তিনি জানান, ‘ক্লাব মালিকানা ও তৃতীয় বিভাগের বিতর্ক সমাধানে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেব।’
অভিষেক টেস্ট বনাম বোর্ড পরিচালনা
তুলনা করতে গিয়ে তিনি হাসিমুখে বলেন, ‘অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলাম ভালো পার্টনার পেয়ে। বিসিবিতে সফল হতে হলেও আমাকে অনেক ভালো পার্টনার দরকার।’