শিরোনাম
সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যুতে সহকর্মীদের কান্না, চালকের শাস্তি দাবি প্রাথমিকে ১১ দিন, মাধ্যমিকে ১২ ও কলেজে ১৪ দিনের ছুটি সিলেটসহ ১৪ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি, দুপুর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন সিলেট নগরবাসীর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করবে পুলিশ: এসএমপি কমিশনার সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ নয়, নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে মহানগর পুলিশের চার অভিযান: চুরির মোবাইল, ভারতীয় ফুচকাসহ যা যা আটক সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে ডিসি অফিসের ২ জারিকারকের মৃত্যু

https://www.emjanews.com/

9521

sylhet

প্রকাশিত

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৬

আপডেট

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:১৯

সিলেট

সাতছড়ি উদ্যান ও তেলমাছড়া বনে গাছ চুরি: চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৬

ছবি: সংগৃহীত।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও তেলমাছড়া বনের মূল্যবান গাছ চুরির অভিযোগে বন বিভাগের চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বেচ্ছাসেবী বন্যপ্রাণী সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির আহ্বায়ক মুজাহিদ মসি হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক মুহাম্মদ শাহেদুল আলম মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই হবিগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সিআর নং–৭৪৫/২৫ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

অভিযোগে যাদের নাম এসেছে তারা হলেন-সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট নূর মোহাম্মদ, তেলমাছড়া বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও বন প্রহরী সুমন বিশ্বাস।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২ মার্চ, ২০ মার্চ ও ৯ আগস্ট সাতছড়ি ও তেলমাছড়া বিট থেকে বিপুল পরিমাণ সেগুনসহ মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া বন্যপ্রাণী পাচার, শিকারিদের সহযোগিতা, বনের ফল বিক্রি করে বন্যপ্রাণীর খাদ্য সংকট সৃষ্টি এবং পর্যটকদের টিকিট বাবদ রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘সাতছড়ি উদ্যানের গাছ চুরির ঘটনা দীর্ঘদিনের। জনস্বার্থে এ মামলা করা হয়েছে। সঠিক রায়ের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

এ বিষয়ে সিলেটের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবুল কালাম জানান, ‘বন বিভাগও তদন্ত করছে, যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।”

মামলার বাদী মুজাহিদ মসি বলেন, ‘বনের গাছ চুরির রহস্য উন্মোচন এবং বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে বাধ্য হয়েই আমি মামলা করেছি।’