
ছবি: সংগৃহীত।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, ‘বৈচিত্রের বাংলাদেশে সম্প্রতির ইতিহাস অনন্য। দেশের শান্তি ও সম্প্রতি বজায় রেখে ধর্ম ও বর্ণের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও সকল ধর্মের মানুষ একে অপরকে সম্মান করে, যা বিশেষ করে আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’
শারদীয় দূর্গাপূজা-১৪৩২ উপলক্ষে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শারদা স্মৃতি ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ আয়োজনে বার্ষিক প্রতিনিধি সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থ। যৌথ সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা ও মহানগর সাধারণ সম্পাদকরা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট মুত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মলয় পুরকায়স্থ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ পাল, মহানগর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেব প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, ‘শারদীয় দূর্গাপূজা নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং যেকোন সমস্যায় প্রশাসক ও মনিটরিং সেলের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয় করতে হবে। এছাড়া, পূজা মণ্ডপে পরিমিত শব্দে ধর্মীয় গান ও মন্ত্রমন্ত্রণা, ঢাক-ঢোল ব্যবহার এবং রাত ১২টার পর সকল প্রকার সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজান ও নামাজের সময়ও বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়।
সুবোধ মঞ্চ থেকে প্রতিমা বিসর্জন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে সূর্যাস্তের পূর্বে বিসর্জন কার্যক্রম শেষ করারও অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় পবিত্র গীতা পাঠ করেন জেলা শাখার সদস্য রতন কান্তি দাস। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শৈলেল কর।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দ।