
ছবি: সংগৃহীত।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল। ইতিমধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কাউন্সিল ঘিরে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনায় মুখর হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মীরা। কে হাসবেন শেষ হাসি-তা জানার অপেক্ষায় রয়েছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা।
কাউন্সিল পরিচালনার জন্য ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. রেদওয়ান খান, অন্য সদস্যরা হলেন অ্যাডভোকেট এএনএম খালেদ লাকি, ড. সাইফুল আলম চৌধুরী, প্রফেসর সামসুল ইসলাম ও শিক্ষক আব্দুল মুহিত চৌধুরী রিপন।
কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. রেদওয়ান খান জানান, যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করা হয়েছে। উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ৯২৩ জন ভোটার আজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পৌর শহরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি, সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫ পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। গ্রামেগঞ্জ, হাটবাজার, পাড়া-মহল্লায় এখন কাউন্সিলের উত্তাপ বইছে। শেষ সময়ে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা।
সভাপতি পদে মুখোমুখি হচ্ছেন দুই সাবেক সভাপতি-জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও দুইবারের উপজেলা সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু এবং কুলাউড়া পৌরসভার পাঁচবারের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বাচ্চু।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আজিজুর রহমান মনির, আব্দুল জলিল জামাল, বদরুল হোসেন খান ও জয়নুল ইসলাম জুনেদ। সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন শামীম আহমদ চৌধুরী, বদরুজ্জামান সজল ও সুফিয়ান আহমদ। সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে লড়ছেন কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, মইনুল হক বকুল ও সারোয়ার আলম বেলাল। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল মুক্তাদির মনু, নুরুল ইসলাম ইমন, মহিউদ্দিন স্বপন ও সিপার আহমেদ।
প্রার্থীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের গুরুত্ব বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।