শিরোনাম
সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যুতে সহকর্মীদের কান্না, চালকের শাস্তি দাবি প্রাথমিকে ১১ দিন, মাধ্যমিকে ১২ ও কলেজে ১৪ দিনের ছুটি সিলেটসহ ১৪ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি, দুপুর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন সিলেট নগরবাসীর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করবে পুলিশ: এসএমপি কমিশনার সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ নয়, নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে মহানগর পুলিশের চার অভিযান: চুরির মোবাইল, ভারতীয় ফুচকাসহ যা যা আটক সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে ডিসি অফিসের ২ জারিকারকের মৃত্যু

https://www.emjanews.com/

9556

sylhet

প্রকাশিত

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১৭

আপডেট

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০০:২৪

সিলেট

সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ নয়, নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১৭

ছবি: ইমজা নিউজ

সিলেট নগরীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের (হকার) ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এ লক্ষ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন প্রথমবারের মতো যৌথভাবে ১৫ দিনের অ্যাকশন প্ল্যান হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম দিনেই ঐতিহ্যের প্রতীক কীন ব্রীজ হকারমুক্ত করা হয়েছে।

আজ শনিবার সরকারি ছুটির দিনে সড়ক থেকে হকারদের সরিয়ে পুনঃস্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় সকাল থেকে প্রশাসনের সঙ্গে ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় কীন ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচল দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। শুধু মোটরসাইকেল পারাপার চলছিল। এর সুযোগে ক্ষুদ্র ও ভাসমান ব্যবসায়ীরা ব্রিজটি দখল করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। তবে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরিচালিত অভিযানে তাদের উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অভিযানের সময় হকাররা দ্রুত তাদের মালামাল সরিয়ে নেন।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার জানান, হকারদের জন্য লালদিঘীরপাড় হকার্স মার্কেট প্রস্তুত রয়েছে। ঘাটতি অংশ দ্রুত ঠিক করা হবে। সবাইকে সেখানে বসতে হবে।

অন্যদিকে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ বলেন, দুপুরের পর জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম কীন ব্রীজ পরিদর্শন করেন এবং হকারদের ব্রিজ বা রাজপথ দখলের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি আরও জানান, লালদিঘীরপাড় হকার্স মার্কেট সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এ সময় পর্যন্ত হকাররা ফুটপাতে বসতে পারবেন, তবে রাজপথে নামলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও সিসিক কর্মকর্তাদের নিয়ে কীন ব্রীজ পরিদর্শন করেন।

একসময় সিলেটের ঐতিহ্যের প্রতীক কীন ব্রীজ রীতিমতো বাজারে পরিণত হয়েছিল। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে মাছ, তরিতরকারি, কাপড়চোপড়, ঘড়ি, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মসলাসহ নানা সামগ্রী বিক্রি করতেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

এর পর সিলেট নগরীর হকার নির্ধরিত স্থানে পুনঃস্থাপন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। তিনি বলেন. সিলেট সরীর হকারদের উচ্ছেদ করা হরা হবে না। তাদের সিটিকর্পোরেশন নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে। এ জন্য সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে ১৫দিনের অ্যাকশন প্লান হাতে নেয়া হয়েছে। ১৫দিনের মধ্যে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে হকার পুনর্বাসনের টেকসই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।