শিরোনাম
সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ‘কোন আসনে গ্রিন সিগন্যাল নয়, ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের নির্দেশ তারেক রহমানের’ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকার পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে- প্রধান উপদেষ্টা কোম্পানীগঞ্জে ধলাই নদীর চার বালু লুটেরা আটক শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: প্রশাসনের তদন্ত কমিটি সিলেটে ৩০ টি স্ট্যান্ডে নির্দিষ্টসংখ্যক অটোরিকসা রাখার নির্দেশ , অমান্যে জরিমানা সিলেটে শামসুদ্দিন হাসপাতালের নামে চাকরির ভুয়া বিজ্ঞাপন অভিযানের প্রথম দিনে নগরীর রাস্তা থেকে অর্ধেক যানবাহন হাওয়া যুক্তরাজ্যের মানচিত্রে যুক্ত হলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র শাবিপ্রবিতে শর্তসাপেক্ষে ছাত্ররাজনীতির অনুমতি

https://www.emjanews.com/

9839

international

প্রকাশিত

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৪১

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৪১

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনটি দেশ পর্যায়ক্রমে এ ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে প্রথম ঘোষণা আসে কানাডার পক্ষ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, এবং সর্বশেষ যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন। বিশেষত, যুক্তরাজ্য প্রথম জি-৭ দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে।

স্টারমারের ডেপুটি সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য এটি সঠিক সময়।” তিনি স্পষ্ট করেছেন, যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি রাতারাতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে না, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা ধরে রাখার পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

সরকারি সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি সম্প্রতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার গাজার অনাহার ও সহিংসতাকে ‘অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ এবং সহিংসতা কার্যকর দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে নষ্ট করছে বলে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা মনে করছেন।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তীব্রভাবে বিরোধী জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেন, এটি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার বৈধতা দেবে। তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা যুক্তি দিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখার জন্য এটি তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব।

যুক্তরাজ্যের ঘোষণার পর ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল এবং লুক্সেমবার্গসহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ একই পথে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রান্স ও কানাডা চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দেবে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের এই ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ব্রিটেন সফরের পর এসেছে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে স্টারমারের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিরল মতবিরোধের উদাহরণ।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। স্টারমার ও আব্বাস একমত হয়েছেন, ভবিষ্যতে যেকোনো ফিলিস্তিনি শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।