
ইএন ডেস্ক।। চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদল লে ট্রান্সফরমাতরস (The Transformers)- এর নেতা সুসেস মাসরাকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে রাজধানী এনজামেনায় নিজ বাসভবন থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি করেছে তার দল।
দলের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে সামরিক বাহিনী সুসেস মাসরাকে অপহরণ করেছে।”
ওই পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিও সংযুক্ত ছিল, যাতে মাসরাকে সশস্ত্র সেনাদের মাঝে বাসভবন থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
৪৪ বছর বয়সী সুসেস মাসরা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০২৪ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস ডেবির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে ডেবি পান ৬১.৩ শতাংশ ভোট, আর মাসরা পান ১৮.৫ শতাংশ। তবে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নিজেকে বিজয়ী দাবি করেন মাসরা।
মাসরা চাদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেবির অন্যতম কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
চাদে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয় ২০২১ সালে, দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক ইদ্রিস ডেবি ইটনো বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হলে। এরপর সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তার ছেলে মাহামাত ইদ্রিস ডেবিকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। প্রথমে তিনি ১৮ মাসের মধ্যে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে সেই সময়সীমা আরও দুই বছর বাড়ান।
পরবর্তী সময়ে অনেক বিরোধী নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, কেউ কেউ নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন বা শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতায় যান।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত গণভোটে একটি নতুন সংবিধান অনুমোদন পায়। এরপর ২০২৪ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাহামাত ডেবি বিজয়ী হন, যদিও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সুসেস মাসরাকে ধরে নেওয়ার ঘটনার পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনী বা সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইএন/এআর।