
অমিতা সিনহা: ক্লান্তি যখন শরীর আর মনের ভেতরে বাসা বাধে, তখন একটা নির্জন, নির্মল, নিঃশব্দ জায়গার দরকার হয়। একটা জায়গা, যেখানে প্রকৃতি কথা বলে, বাতাসে থাকে শান্তির গন্ধ, আর পানির ধ্বনি যেন মনের সব জট খুলে দেয়।সেইরকমই এক স্বপ্নময় জায়গার নাম মায়াবি ঝর্না।
এই ঝর্ণা শুধু একটি প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান নয়—এ যেন এক অনুভব। পাহাড়ি পথ পেরিয়ে যখন আপনি প্রথমবার এর সুমধুর ধ্বনি শুনবেন, মনে হবে—প্রকৃতি নিজেই আপনাকে ডেকেছে, শুধু আপনার জন্য।
ঝর্ণার জল আঙুল ছুঁয়ে যাবে, কিন্তু আপনি বুঝে উঠতে পারবেন না, তা ঠান্ডা নাকি উষ্ণ; শান্ত না চঞ্চল। মায়াবি ঝর্না নিজেই এক রহস্যময়ী, যে আপনার ব্যস্ত জীবনের সব শব্দ সরিয়ে নিঃশব্দ ভালোবাসা দিয়ে মন ভরিয়ে দেবে। প্রকৃতির একান্ত নির্জনতায় কিছুটা সময় কাটাতে, সোশ্যাল মিডিয়ার ক্লান্তি থেকে ছুটি নিতে, ক্যামেরায় বন্দি করতে অপার্থিব সৌন্দর্য, আর নিজের ভেতরের ‘আমি’টাকে আবার চিনে নিতে। যাঁরা শহুরে জীবন থেকে খানিকটা পালিয়ে গিয়ে এক টুকরো নির্জনতা খুঁজছেন—মায়াবি ঝর্না তাদের জন্য অপেক্ষায়।
মায়াবী ঝর্ণা জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত। ঝর্ণাটি সীমান্তের কাছাকাছি। সিলেট শহর থেকে বাস বা সিএনজি: সিলেট শহর থেকে জাফলং পর্যন্ত বাস বা সিএনজিতে যেতে পারেন। দূরত্ব প্রায় ৬২ কিলোমিটার।
জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে: জিরো পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে ১৫-২০ মিনিটে মায়াবী ঝর্ণায় পৌঁছানো যায়।