শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

6968

law-justice

প্রকাশিত

০৬ জুলাই ২০২৫ ২০:১৬

আপডেট

০৬ জুলাই ২০২৫ ২০:৪৪

আইন আদালত

শেখ হাসিনাসহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ ২০:১৬

ছবি- সংগ্রহ

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া ছয়টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ মোট ১০০ জনের নামে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট নিজেদের অনুকূলে বরাদ্দ নিয়েছেন।

গত ৩ জুলাই ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের স্বাক্ষরে বিজি প্রেস থেকে এই গেজেট প্রকাশিত হয়।

গেজেটে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস, তারা আত্মগোপনে রয়েছেন এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নেই। তাই ১৯৫৮ সালের ক্রিমিনাল ল’ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্টের ৬(১৩) ধারা অনুযায়ী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য শুরু হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা ছয়টি মামলায় আদালতের নির্দেশে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানির তারিখ ২০ জুলাই ধার্য রয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং সহকারী পরিচালক এস. এম. রাশেদুল হাসান ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে এসব মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।

১৪ জানুয়ারি উপপরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্তে নতুন চারজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

একই দিন সহকারী পরিচালক এস. এম. রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে দুজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।

১৩ জানুয়ারি শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে আরও দুজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭।

একই দিন আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। পরে আরও দুজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।

এস. এম. রাশেদুল হাসান একই দিনে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুজন যুক্ত হয়ে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়।

১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় মোট ১৮ জনের নামে। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১৬ জনকে।