শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

7570

law-justice

প্রকাশিত

২২ জুলাই ২০২৫ ২৩:১১

আইন আদালত

হাইকোর্টে উলফা নেতার সাজা কমে ২০ বছর

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫ ২৩:১১

ফাইল ছবি: উলফা নেতা রঞ্জন চৌধুরী ও তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাক

হাইকোর্ট অস্ত্র আইনের মামলায় ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) নেতা রঞ্জন চৌধুরী ও তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাকের যাবজ্জীবন সাজা সংশোধন করে ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে কিশোরগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল অস্ত্র আইনের মামলায় এবং কিশোরগঞ্জ দায়রা আদালত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

রায়ের বিরুদ্ধে রঞ্জন ও প্রদীপ ২০১৫ সালেই হাইকোর্টে আপিল করেন। শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট তাঁদের অস্ত্র আইনের সাজা ২০ বছর নির্ধারণ করে এবং সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় ১৫ বছরের কারাভোগকে সাজাভোগ হিসেবে গণ্য করে আপিল খারিজ করে রায় দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই র‌্যাব-৯–এর তৎকালীন সদস্যরা ভৈরব পৌর শহর থেকে রঞ্জন ও প্রদীপকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর থেকে তাঁরা টানা কারাবন্দী। এখন পর্যন্ত ১৫ বছর ৭ দিন কারাভোগ করেছেন তাঁরা। কারাবিধি অনুযায়ী এক বছরে নয় মাস গণনায় তাঁদের ২০ বছরের সাজা পূর্ণ হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীদের।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম শামশাদ, নূরুজ্জামান ও আমির উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা রুবী বলেন, "যদি তাঁদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকে, তাহলে কারামুক্তির বিষয়টি সরকারের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনগত বিধি অনুসারে নির্ধারিত হবে। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।"

মামলার নথি অনুযায়ী, রঞ্জন চৌধুরী উলফার মেজর রঞ্জন নামে পরিচিত। তাঁর বাড়ি ভারতের আসামের ধুবড়ি জেলার গৌরীপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামে। তিনি ২০০৭ সালে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতির আদিবাসী নারী সাবেত্রী মংকে বিয়ে করে ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাকের বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতির বাকাকুড়া গ্রামে। তাঁরা নিষিদ্ধ কার্যক্রমে যুক্ত থাকার সময় গ্রেপ্তার হন।