
সিলেট জেলার পাথর কোয়ারি খোলে দেয়া সহ ৬ দফা দাবিতে সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের লাগাতার 'পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি' সকাল ৬ টা থেকে পালিত হচ্ছে। এই কর্ম বিরতির ফলে রাস্তায় কোন ইঞ্জিন চালিত গণপরিবহন ছিল না। তাই কার্যত সড়ক যোগসযোগ অচল হয়ে পড়েছে।
সিলেট বিভাগীয় সড়কপরিহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আজ থেকে এই পরিবহন শ্রমিকদের কর্ম বিরতির আহবান করে।
সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দবি সমুহ হলো, তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান ২৫ বছর, সিএনজি ও ইমা লেগুনা এর ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল করা, সিলেটের সকল পাথর কোয়ারীর ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক সকল গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণ পরিবহন ও পণ্য পরিবহনের উপর আরোপিত বার্ধিত টেক্স প্রত্যাহার করা, সিলেটের সকল ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করন বন্ধ, বিদ্যুৎ মিটার ফেরত ও ভাংচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর ও বালুর ক্ষতি পূরণ দেওয়া, সিলেটের পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে অবিলম্বে সিলেট থেকে প্রত্যাহার করা ও সড়কে বালু ও পাথরবাহী গাড়িসহ সকল ধরনের পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানী বন্ধ করা।
এদিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ শ্রমিক কর্মবিরতিতে রাস্তায় নিজ মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন চালানোর ঘোষনা দিলেও সকাল সোয়া ৯ টা পর্যন্ত বাস-ট্রাক বা অন্য কোন পরিবহন রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায় নি। এতে জরুরী প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের পথে আটকে থাকতে দেখা যায়।