
ছবি: সংগৃহিত।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত ১০ মাসে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধ দমনে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। একই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০ হাজারের বেশি গোলাবারুদ।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান।
তিনি চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, আলোচিত কয়েকটি অপরাধ এবং র্যাবের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য দেন।
র্যাব ডিজি জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মামলায় ১৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ৫০০-র বেশি অস্ত্র এবং ১০ হাজারেরও বেশি গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য।
এই সময়কালে অপহরণ মামলায় ৫০০ জনের বেশি আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপহৃত প্রায় ৭৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মানবপাচার মামলায় ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৪২ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা র্যাবের পোশাক ও পরিচয় ব্যবহার করে অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত ছিল।
তিনি আরও জানান, হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ২,২০০ জন ; ছিনতাইকারী প্রায় ৫০০ জন; চাঁদাবাজি মামলায় ৭২ জন; প্রতারণা মামলায় ৪৪ জন; কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ১১ জন; ডাকাতি মামলায় প্রায় ৪০০ জন; মাদক মামলায় প্রায় ৩,৫০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
এছাড়া র্যাবের নিয়মিত ও বিশেষ অভিযানে জল ও বনদস্যুদের মধ্যে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ডিজি পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে, চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খণ্ড-বিখণ্ড করে হত্যার মামলায় স্বামী সুমনকে এবং ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমা ভয়ের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, 'র্যাব বিলুপ্তি বা পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে চিন্তার সময় নেই। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।'