
ছবি: সংগৃহিত।
সিলেটের জকিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নয় নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সিলেট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে আরও দুই আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ফারুক আহমদ।
হামলার একটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন তিনি। নির্ধারিত সময়সীমা শেষে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ উপজেলা যুব জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
একই মামলার অপর দুই আসামি: ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মঞ্জু আহমদ ও ইছামতী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে, গত বছরের ৪ আগস্ট জকিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আট নেতাকর্মী একইদিন উচ্চ আদালতের জামিন শেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন: জকিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন নজরুল, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য ফয়েজ আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জকিগঞ্জ ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিত, পৌর যুবলীগের সদস্য নাজু আহমদ, যুবলীগ নেতা সুমন আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসকুরুনী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুজন দে।
আদালত ও আসামিপক্ষের আইনজীবী সূত্র জানায়, আসামিরা জামিন চেয়ে আবেদন করলেও বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেন।
পুলিশ জানায়, কারাগারে যাওয়া অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জকিগঞ্জ থানায় অন্তত চারটি মামলা রেকর্ড করা হয়।