
ছবি: সংগৃহিত।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় হাইকোর্টের দেয়া খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় ৫২ পৃষ্ঠার এ রায়ের অনুলিপি।
রায়ে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার দুই ধারায় মোট নয় বছরের সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানও এই রায়ের সুবিধাভোগী হিসেবে খালাস পেয়েছেন।
একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে জব্দ হওয়া সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন এবং আজ (১৪ জুলাই) তার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ পায়।
এর আগে, ১৪ মে হাইকোর্ট ডা. জুবাইদা রহমানের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর একদিন আগে, ১৩ মে আপিল দায়ের করতে বিলম্ব হওয়ায় ৫৮৭ দিনের দেরি হাইকোর্ট মার্জনা করেন।
মামলার পটভূমি অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে অর্থদণ্ডও করা হয়।
অপরদিকে, জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান ডা. জুবাইদা রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তিনি দেশে ফেরেন। এক মাসের বেশি সময় দেশে অবস্থান করে ৬ জুন আবারও লন্ডনে ফিরে যান।