
ছবি- সংগ্রহ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাত্তর ও গণতন্ত্র প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ নিয়ে কোনো আপস হবে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, যারা গণতন্ত্র ও মানুষের অগ্রগতিতে বিশ্বাস করেন না, তারা এখন জোট বেঁধে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। দেশে মাদক, হত্যা ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি দেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কার, সনদ গ্রহণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দ্রুত করার ওপর জোর দেন। তার মতে, এই দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের।
আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য ঐকমত্য জরুরি। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশিত পরিবর্তন এখনও হয়নি।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু মনে করেন, গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশ মানুষের নামই আজ অজানা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতন হলে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো হতো।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, প্রশাসনের চরিত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং বর্তমান সরকারের কাজকে তিনি ১০-এ ৪ বলে মূল্যায়ন করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের সময় হিংসা ও বিভেদমুক্ত রাজনীতি প্রত্যাশা ছিল, যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি নির্বাচনের নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু। এছাড়াও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের শহীদ উল্লাহ কায়সার, জেএসডির তানিয়া রব, গণফোরামের মিজানুর রহমান ও নারী মুক্তি কেন্দ্রের সীমা দত্তসহ বিভিন্ন দলের নেতারা বক্তব্য দেন।