জুলাই আন্দোলন কোন মাস্টারমাইন্ডের নয়, ১৮ কোটি জনতার: ডা. শফিকুর রহমান
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫ ১৯:৩৬

ছবি: সংগৃহিত।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, 'দেশ এখন এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এ পরিস্থিতি সফলভাবে অতিক্রম করতেই হবে।'
তিনি বলেন, 'আমরা বিচলিত নই, কিন্তু দেশের বাস্তবতা বহু মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।'
তিনি আরো বলেন, 'জুলাই আন্দোলন কোন মাস্টারমাইন্ডের নয়, ১৮ কোটি জনতার। রাজধানীর মাইলস্টোনের দুর্ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী সাথে সাথেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, কোন সময় ক্ষেপণ করেনি। আমরা জামায়াতে ইসলামী আহত এবং নিহত পরিবারের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।'
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জনশক্তি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া অতীতের মতো কোন বস্তাপচা নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী যাবে না এবং করতেও দিবে না।'
তিনি আরো বলেন, 'জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আমাদের রাজনীতি দেশ ও জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হয়।'
জামায়াতে ইসলামী বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মোহাম্মদ আবুল কাশেম এর সঞ্চালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরের আমির মো: ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা শাখার আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট জেলা শাখার নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, মাওলানা হাফিজ আনোয়ার হোসেন খান প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, '১৯৭১ সালের পর অনেক কিছু অর্জিত হওয়ার কথা থাকলেও মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বড় অংশ আজও অপূর্ণ।'
তিনি বলেন, 'পতিত স্বৈরাচার দেশকে দিয়েছে দুঃশাসনের স্টিম রোলার। মানুষের ১৫ বছর কেটেছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে। জাতীয় নেতৃবৃন্দকে বিচার ছাড়াই, আবার কাউকে বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। আয়না ঘরে আটক করে নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ইতোমধ্যে এসব ঘটনা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। কিন্তু এখনো জনগণ কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিচার দেখতে পাচ্ছে না।'
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি ন্যায়বিচার না হয়, বাংলাদেশ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। আবার যেনতেন বিচারও চাই না। বিচারের নামে আমাদের ওপর যেভাবে অবিচার হয়েছে, তাও চাচ্ছি না।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আদালতে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে বিচার করা হয়েছিলো সেই আদালতে তাদের আসতে হবে। বিচার হবে, আমরা চাই না তাদের ওপর জুলুম হোক। আমারা চাই ন্যায় বিচারের মাধ্যমে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে।'