
ছবি: সংগ্রহ
‘আমরা তো জানিই ওরা হেরে যাবে…’ শেষ টি-টোয়েন্টিকে ঘিরে ক্ষোভের সুরেই কথাটি বলেন পাকিস্তানের এক সাংবাদিক। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিসিবি আয়োজিত নৈশভোজে ক্রিকেটারদের ছবি তুলতে অপেক্ষারত অবস্থায় তিনি এই মন্তব্য করেন। ক্ষোভের পেছনে কারণও ছিল, বাংলাদেশ সফরে এসে পাকিস্তান দল মাত্র একদিন অনুশীলন করেছে।
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের মাধ্যমে সিরিজ আগেই খুইয়েছে পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচের আগের দিনও দুই দলই ছিল বিশ্রামে। তবে সন্ধ্যায় তারা একসঙ্গে অংশ নেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সভা উপলক্ষে বিসিবির আয়োজিত নৈশভোজে। পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন এ সময় পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশ এর আগেও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ দিয়েছে-২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে এবং গত বছর পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে। এবার সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে টি-টোয়েন্টিতেও। এর আগে দুইবার একাধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে (২০২১ সালে বাংলাদেশে ও ২০২৫ সালে পাকিস্তানে) মুখোমুখি হয়ে দুইবারই ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশ।
তবে এবার চিত্রটা বদলে গেছে। মিরপুরে আজ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই সংস্করণেও তাদের হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আগেও একাধিক দলকে ধবলধোলাই করেছে টাইগাররা-২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে দিয়ে যাত্রা শুরু, এরপর জিম্বাবুয়ে, আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজও শিকার হয়েছে বাংলাদেশের। আজ পাকিস্তানও সেই তালিকায় নাম লেখালে অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাস বসবেন সাকিব আল হাসানের পাশে-যিনি এর আগে দুটি সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মাঠে প্রতিপক্ষ হলেও, মাঠের বাইরে দুই দলের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বার্তা পাওয়া গেছে। গতরাতের নৈশভোজে দুই দলের খেলোয়াড়দের মিলনমেলায় সেই চিত্রই ফুটে ওঠে।