
ছবি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জরুরি সংবাদ সম্মেলন।
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবির অভিযোগে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সকল কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “অর্গানোগ্রামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশের সকল কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কিছু পরাজিত শক্তি সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছে। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
এর আগে রোববার সকালে গুলশান থানায় সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবি ও ভয়ভীতির অভিযোগে সিদ্দিক আবু জাফর নামের এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু মো. আমিনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ জুলাই সকালে রিয়াদ ও অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন। পরে বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর ১৯ জুলাই রাত ১০টা ৩০ মিনিটে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে তিনি গুলশান থানায় ফোন করলে তারা সরে যায়।
এ ঘটনায় রিয়াদসহ চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন। শুনানির দিন পরে জানানো হবে।