
ছবি: সংগৃহিত।
প্রিয় পোষা প্রাণী বিড়ালের একটি সাধারণ আঁচড় বা কামড় থেকেও হতে পারে বিপজ্জনক রোগ ‘ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ’ (সিএসডি)। এটি একটি জুনোটিক ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, যা বিড়ালের আঁচড়, কামড় বা লালার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। রোগটির জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া Bartonella henselae।
লক্ষণ:
আঁচড়ের স্থানে ফোলা ও লালচে ভাব
নিকটবর্তী লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া
জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, বদহজম
গুরুতর ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে এনসেফালোপ্যাথি- একটি স্নায়বিক জটিলতা, যার ফলে মানসিক বিভ্রান্তি, তীব্র মাথাব্যথা, খিঁচুনি, স্মৃতিভ্রম ও আচরণগত পরিবর্তন হতে পারে।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ:
সাধারণত মৃদু সংক্রমণ নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে গুরুতর সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় এবং স্নায়বিক জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে পারে।
প্রতিরোধের জন্য-
বিড়ালের আঁচড় বা কামড় লাগলে সাথে সাথে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
বিশেষ করে বিড়ালছানার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন
বিড়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিশ্চিত করুন
ঘরে মাছি বা পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে রাখুন
সতর্কতা:
আঁচড়ের কয়েক দিনের মধ্যে জ্বর না কমা, লিম্ফ নোড ফোলা, মাথা ঘোরা, খিঁচুনি বা আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতা, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি ও দ্রুত পদক্ষেপই পারে এই রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে।