https://www.emjanews.com/

8513

sylhet

প্রকাশিত

১৬ আগস্ট ২০২৫ ১১:৩৭

আপডেট

১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৪:০০

সিলেট

ভোলাগঞ্জের পাথর লুট মামলায় ৫ জন আটক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫ ১১:৩৭

ছবি: সংগৃহীত।

সিলেটের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় দেড় হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব।
শুক্রবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- মোহাম্মদ কামাল মিয়া (পিচ্চি কামাল) (৪৫) পিতা-মৃত সিকন্দর আলী, গ্রাম-কালাইরাগ, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট।
মোঃ আবু সাঈদ (২১) পিতা-কামাল মিয়া, সাং-কালাইরাগ, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট।
মোঃ আবুল কালাম (৩২) পিতা-মৃত মনফর আলী, সাং-নাজিরেরগাঁও, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট (তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে)।

অন্যদিকে ক্রাশ করা সাদা পাথর ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় চেকপোস্টে ইমান আলী (২৮) পিতা-শহীদ মিয়া, সাং-লাছুখাল, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট এবং জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) পিতা-শহীদ মিয়া, সাং-লাছুখাল, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট-দ্বয়কে ডাম্প ট্রাক ভর্তি সাদা পাথরসহ আটক করা হয়েছে। সকলকে খনিজ সম্পদ অধিদপ্তরের দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।

আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, মামলায় এক থেকে দেড় হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কিছু দুষ্কৃতকারী গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী সময়ে গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাট করেছে মর্মে বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে আটক করে পুলিশ। ছাতক নৌ পুলিশের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর ও গোয়াইনঘাটের জাফলং থেকে লুট হয়ে যায় কয়েক শত কোটি টাকার পাথর। সর্বশেষ ১৫ দিনে সাদা পাথরের মাটি খুঁড়ে নজিরবিহীন পাথর লুটপাটের পর সক্রিয় হয় প্রশাসন।

সারাদেশে আলোচিত লুটপাটের এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন ও লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরপর সিলেটসহ সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযানে যৌথ বাহিনী। গত তিন দিনে সিলেট, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও লুট হওয়া মোট পাথরের তুলনায় তা অতি সামান্যই। তবে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ।

উদ্ধার হওয়া পাথর আবারও সাদাপাথর এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।