
ছবি: সংগৃহিত।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ সাদা পাথর এখন পাচারের নতুন রুটে যাচ্ছে সুনামগঞ্জের শিল্পনগরী ছাতকে। দিনরাত পাচারকারীরা ব্যবহার করছে নদীপথ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সংঘবদ্ধ একটি চক্র নদীপথে কাটাগাঙ দিয়ে এসব পাথর সরিয়ে ছাতকের শতাধিক ক্রাশার মিলে অন্য পাথরের সঙ্গে মিশিয়ে নিশ্চিহ্ন করছে। সেখান থেকে জাহাজ ও নৌকার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে পাথরগুলো।
প্রশাসন সম্প্রতি অভিযানে নেমে সড়কপথে পরিবহন বন্ধ করায় চক্রটি রুট পরিবর্তন করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এখন নিয়মিতভাবেই ভোলাগঞ্জ থেকে নৌকায় পাথর এনে ছাতকে গোপনে মজুদ করা হচ্ছে। পরে বৈধ পাথরের সঙ্গে মিশিয়ে লুটের পাথর পাচার চলছে রাতের অন্ধকারে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জের একাধিক প্রভাবশালী বালু-পাথর ব্যবসায়ী ছাতকে স্থায়ীভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভোলাগঞ্জ থেকে নৌপথে বিপুল পাথর এনে অবৈধভাবে পাচার করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ছাতক হয়ে এই পাচার কার্যক্রম চলে আসছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এর মাত্রা কয়েকগুণ বেড়েছে। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত ১৫শ’ জনকে আসামি করা হলেও এখনো উল্লেখযোগ্য আলামত জব্দ হয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের মাহমুদ আদনান জানান, মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেফতার আসামীদের কাছ থেকে কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঢাকায় র্যাবও কিছু আলামত জব্দ করেছে। তিনি বলেন, ‘লুট হওয়া পাথর যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই জব্দ করা হবে। মামলার ব্যাপকতা বিবেচনায় আইনসিদ্ধভাবে সকল তৎপরতা চালানো হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশও যৌথবাহিনীর সাথে পাচার রোধে কাজ করছে।’