সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ধর্মগ্রাম হাওর রক্ষায় নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী হাজি শুক্কুর আলী ও তাঁর সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে হাওর দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়। চার গ্রামের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ধর্মগ্রাম গ্রামের মোহাম্মদ সালেহ রাজা।
তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, ধর্মগ্রাম হাওরকে ঘিরে লান্দু, কোরিহাই, ধর্মগ্রাম ও খলাগ্রামের দরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। শত শত বছর ধরে এ হাওরে মাছ ধরা, মহিষ চরানো এবং কৃষিকাজ করেই তাঁদের সংসার চলে আসছে। কিন্তু শুক্কুর আলী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হাওরের জায়গা দখল করে নিয়েছেন। সরকার হাওরের জমি কেনাবেচা বন্ধ রাখলেও তিনি সামান্য টাকার বিনিময়ে কিছু দরিদ্র মানুষের নাম ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করেছেন। কাগজে মাত্র কয়েক শতাংশ জমি থাকলেও বাস্তবে প্রায় ১০ হাজার শতাংশ জমি তিনি ভোগদখলে নিয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এই দখলবাজির প্রতিবাদ করায় সালেহ রাজাকে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসানো হয়, তাঁকে মারধর করা হয় এবং দোকান লুট করা হয়। হাওরের পরিবেশ রক্ষায় তিনি হাইকোর্টে রিট (নং ৮০৭৬/২০২৫) দায়ের করেন।
আদালতের নির্দেশে গত ২০ আগস্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেও শুক্কুর আলীর লোকজনের হুমকির মুখে ফিরে আসেন। কয়েকদিন আগে তাঁর লোকজন সাধারণ মানুষকেও হাওরে গরু চরাতে নিষেধ করেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, সরকারি সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ করতে হবে। তারা নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমকে এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আজির উদ্দিন, আজি রহমান, নিমার আলী, আব্দুল মালিক, নুরুল হক কটু, আব্দুল হক, আব্দুল খালিক, সুলেমান রাজাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তবে হাজি মো. শুক্কুর আলী তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
