
ছবি: সংগৃহীত।
বর্তমানে অনেকেই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা, অবসাদ, মুখে তিতা ভাব ও অরুচি দেখা দিচ্ছে। এ সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বাড়ে শরীরের পুষ্টির চাহিদা। তাই চিকিৎসার পাশাপাশি সঠিক খাদ্য ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি।
কী খাবেন
সহজপাচ্য শর্করা: পাতলা সুজি, সাগু, জাউভাত, ভাতের মাড়, ওটস, মিষ্টি আলু, নরম খিচুড়ি।
প্রোটিন: ডিমের সাদা অংশ, সামুদ্রিক ও দেশি মাছ, মুরগির বুকের মাংস, দুধ-দই, ছোলা, মসুর ডাল, সয়া ও বাদাম।
ভিটামিন সি: পেয়ারা, আমলকী, কমলা, লেবু ইত্যাদি টকজাতীয় ফল।
ভিটামিন এ ও ডি: গাজর, কুমড়া, আম, পেঁপে, ডিমের কুসুম, লিভার, মাছের তেল, সামুদ্রিক মাছ, সূর্যে শুকানো মাশরুম।
ভিটামিন ই ও সেলেনিয়াম: বাদাম, সূর্যমুখী তেল, ডিম, মাছ, মাংস, ডাল।
ইলেকট্রোলাইট পূরণে: ওরস্যালাইন, ডাবের পানি, ভাতের মাড়, চিনি ছাড়া টাটকা ফলের রস (কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা, সবুজ আপেল, আনারস), টক দইয়ের লাচ্ছি, স্যুপ, মিল্কশেক।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার: আনারস, পেঁপে, রসুন, হলুদ, কালো গোলমরিচ।
গার্গল ও হারবাল চা: লেবু-লবণ পানিতে গার্গল, লেবু-মধু-তুলসীপাতা-লং মিশ্রিত হারবাল চা, পুদিনা পাতার পানি।
যা খাবেন না
অতিরিক্ত ফ্যাট, তেলেভাজা বা ভাজাপোড়া খাবার।
অতিরিক্ত চিনি ও সোডাজাতীয় পানীয়।
বাইরের অপরিষ্কার বা সংক্রমণযুক্ত খাবার।
দুধ হজমে সমস্যা হলে সরাসরি দুধ না খেয়ে দই বা ল্যাকটোজ-ফ্রি দুধ গ্রহণ করা উত্তম।