https://www.emjanews.com/

9034

law-justice

প্রকাশিত

৩০ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৭

আপডেট

৩০ আগস্ট ২০২৫ ২৩:১০

আইন আদালত

চার মাসে ২১০ মামলা ‘বিয়ের প্রলোভনে যৌনকর্ম’ ধারায়

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৭

ছবি: সংগৃহিত।

অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের ২৫ মার্চ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এতে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মামলার বিচারের কাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি আইনের ধারা ৯ক-এর পরে নতুন ধারা ৯খ সংযোজন করা হয়েছে।

নতুন ধারায় বলা হয়েছে, বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম করলে সর্বোচ্চ সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই নতুন ধারা কার্যকর হওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চার মাসে দেশে ‘বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্ম’ করার অভিযোগে ২১০টি মামলা দায়ের হয়েছে।

ধর্ষণের মামলায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। নতুন ধারার উদ্দেশ্য হলো ধর্ষণের মামলা দ্রুততর করতে এবং বিয়ের প্রলোভনের মাধ্যমে যৌনকর্মের অভিযোগ আলাদা ধরার মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া সহজ করা।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ধর্ষণের মামলা নিম্নরূপ: ২০২০ সালে ৬,৫৫৫টি, ২০২১ সালে ৬,৩৪১টি, ২০২২ সালে ৬,০৩২টি, ২০২৩ সালে ৫,১৯১টি, ২০২৪ সালে ৪,৩৯৪টি, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ২,৭৪৪টি। চলতি বছরের মাসভিত্তিক ধর্ষণ মামলা: জানুয়ারি ৩৯২টি, ফেব্রুয়ারি ৩৩৭টি, মার্চ ৪৮৩টি, এপ্রিল ৫৩৭টি, মে ৫০৩টি, জুন ৪৯২টি।

ধর্ষণের অভিযোগ পর্যালোচনায় দেখা গেছে দুই ধরনের মামলা হয়, এক ধরনের হলো প্রতারণামূলক সম্মতি আদায় বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনকর্ম, এবং অন্যটি সম্পর্ক ছাড়াই সংঘটিত ধর্ষণ, যেমন চলতি বছরের মার্চে মাগুরার শিশুর ঘটনায় দেখা যায়।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনকর্মের মামলা আলাদা ধারা ৯খ-এ অন্তর্ভুক্ত করার কারণে, সম্পর্ক ছাড়া নৃশংস ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার সম্ভব হয়েছে। তবে এই ধরণের অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড।

সংশোধনের আরও বিষয় হলো শিশু ধর্ষণ মামলার জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন, ছেলেশিশুদের প্রতি যৌনকর্মকে ‘বলাৎকার’ নামে অন্তর্ভুক্ত করা, ধর্ষণ মামলায় তদন্ত ও বিচারের সময় কমানো এবং ডিএনএ পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া।