
ছবি: সংগৃহিত।
তথ্য গোপন, আমন্ত্রণপত্র জালিয়াতি ও ফৌজদারি মামলার তথ্য আড়ালসহ নানা অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওএসডি সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিব মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮- এর বিধি ৩(খ) ও ৩(গ) অনুযায়ী অসদাচরণ ও পলায়নের দায়ে ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ডা. ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
তিনি প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানিও চাননি। পরে দ্বিতীয় নোটিশে জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। ফলে গুরুদণ্ডস্বরূপ চাকরিচ্যুতির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
পরবর্তীতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাবে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সম্মতি জানায় এবং রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে বরখাস্তের অনুমোদন দেন।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮–এর বিধি ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ফাতেমা দোজা ২০০৭ সালে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে বিএসএমএমইউতে সহকারী অধ্যাপক পদে অস্থায়ী নিয়োগ পান এবং অব্যাহতি নিয়ে যোগদান করেন।
তবে এসব তথ্য গোপন করে ২০১৩ সালে আবারও হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন।
সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী, একবার অব্যাহতি নিলে পুনরায় সেই চাকরিতে বহাল থাকার নিয়ম নেই।