শিরোনাম
সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যুতে সহকর্মীদের কান্না, চালকের শাস্তি দাবি প্রাথমিকে ১১ দিন, মাধ্যমিকে ১২ ও কলেজে ১৪ দিনের ছুটি সিলেটসহ ১৪ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি, দুপুর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন সিলেট নগরবাসীর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করবে পুলিশ: এসএমপি কমিশনার সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ নয়, নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে মহানগর পুলিশের চার অভিযান: চুরির মোবাইল, ভারতীয় ফুচকাসহ যা যা আটক সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে ডিসি অফিসের ২ জারিকারকের মৃত্যু

https://www.emjanews.com/

9191

sylhet

প্রকাশিত

০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:০৬

আপডেট

০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৪১

সিলেট

রায়হান হ ত্যা মামলা

পালিয়েছে এসআই আকবর, ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হয়নি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:০৬

ছবি: সংগৃহীত।

সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশের বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া আবারও পলাতক হয়েছেন।

 বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) মামলার ধার্য তারিখে জামিনপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম।

তিনি জানান, আজ আদালতে হাজতে থাকা একমাত্র আসামি ছিলেন এএসআই আশেক আলী। অন্য কোনো আসামি উপস্থিত ছিলেন না। আদালত পরবর্তী যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে এসআই আকবর চলতি বছরের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। পরে ১০ আগস্ট সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আরিফুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছানোর পর যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আকবরকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা ও বিতর্কের পর চেম্বার জজ আদালত তার জামিন বাতিল করেন।

রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার শুরু ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে। সেদিন গভীর রাতে সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রায়হানের পরিবার অভিযোগ করে, পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার পর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী মামলা করেন। তদন্তে মহানগর পুলিশের গঠিত কমিটি ফাঁড়িতে নির্যাতনের সত্যতা পায়। পরবর্তীতে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় কনস্টেবল হারুনসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৫ মে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন- সহকারী উপপরিদর্শক আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, সাময়িক বরখাস্ত এসআই হাসান উদ্দিন এবং আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জের সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান।

দেশজুড়ে আলোচিত এই মামলার প্রধান আসামি আকবরের ফের পলাতক হওয়া নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে।