
ছবি: সুরকার এ আর রহমান।
অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, বছরের পর বছর কাজের তালে ছুটে চলার পর এখন তিনি কর্মজীবনের গতি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন।
তিনি পরিবার, আত্মিক শান্তি এবং নিজস্ব বিকাশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
রাহমান বলেন, ’অনেক সময় সব পরিকল্পনা করেও বাতিল হয়ে যায়। আমি জলের মতো- প্রবাহিত, নমনীয়, নিঃশব্দ। কাজও আসে নিজের ছন্দে, নিজের নিয়মে। ঈশ্বরের সময়চক্রে আমার জন্য আলাদা এক পথ থাকে, যেখানে ধৈর্যই আমার দিশা, আর বিশ্বাসই আমার গতি।’
তার এই দর্শন প্রমাণ করে, সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে সঙ্গে তিনি জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজে হাতে না নিয়ে সময়ের প্রবাহে ভেসে চলছেন।
সাফল্যের শিখরে থেকেও রাহমান স্বীকার করেছেন, কর্মজীবনের শুরুতে কাজের পেছনে ছুটতে চলতে জীবনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো হারিয়েছেন। এখন তিনি নতুন কিছু শেখা, অনুভব করা এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
১৯৯৫ সালে সায়রা বানুকে বিয়ে করা রাহমান তিন সন্তান- খাতিজা, রহিমা ও এ আর আমিনের সঙ্গে জীবন কাটাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জল্পনা থাকলেও রাহমান পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোকে জীবনের মূল অগ্রাধিকার হিসেবে দেখেন।
রাহমানের এই পরিবর্তন শুধু সময় ব্যবস্থাপনার নয়, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির মৌলিক রূপান্তর- খ্যাতি, সাফল্য ও সঙ্গীতের বাইরে সম্পর্ক, সংবেদন ও আত্মিক শান্তিই এখন তার জীবনের মূল সুর।