শিরোনাম
ভারতের কেরালায় মস্তিষ্কখেকো জীবাণুর প্রাদুর্ভাব, ১৭ জনের মৃত্যু হকারদের পুনর্বাসনে প্রস্তুত হচ্ছে লালদিঘীরপাড় মৌলভীবাজারে পিবিআই হেফাজতে খুনের মামলার আসামির অস্বাভাবিক মৃত্যু আটগ্রামে নৌকাবাইচে নৌকাডুবিতে একজন নিখোঁজ: খুঁজছে ফায়ার ব্রিগেড সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ রোধে সাধারণ জনগণের সহায়তা কামনা করেছে বিজিবি শহীদ না হয়েও ৫২ জনের নাম শহীদ তালিকায়  সাদাপাথর লুটের মামলায় আরেকজন গ্রেপ্তার: এলাকায় গ্রেপ্তার আতংক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলো সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

https://www.emjanews.com/

9635

international

প্রকাশিত

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:১৪

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসে

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:১৪

ছবি: সংগৃহীত।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ হালাল প্রদর্শনী মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস (এমআইএইচএস-২০২৫)-এর ২১তম আসরে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এটি অনুষ্ঠিত হবে ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে।

আয়োজক হল মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং মালয়েশিয়া বহির্বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের সমন্বয়ে দেশ থেকে পাঁচটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

তারা প্রদর্শন করবে জেলাটিন, খালি ক্যাপসুল শেল, খাদ্য ও পানীয়, প্রস্তুতকৃত খাবার, চামড়াজাত পণ্য, প্রসাধনী, গৃহস্থালি ও ব্যক্তিগত যত্ন সামগ্রী এবং তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন বিশ্বমানের পণ্য। এসব পণ্য বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ব্যবসায়িক চেম্বারের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন ব্যবসায়িক সভায় অংশগ্রহণ করবে। তারা মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করবেন।

হাইকমিশন আশা করছে, এই অংশগ্রহণ বাংলাদেশের হালাল শিল্পকে আরও শক্তিশালী করবে এবং মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে রফতানির নতুন সুযোগ তৈরি করবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে রফতানি মাত্র ৩২৯ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য বেড়ে দাঁড়ায় ২.৯২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। তবে আমদানি বিপরীতে রফতানি এখনও কম।

রফতানিকারকরা জানান, কাস্টমস জটিলতা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আনুষ্ঠানিক রফতানি বাড়ছে না।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুল্ক বিভাগের তদারকি জোরদার করা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করা জরুরি। এছাড়া কম দামে পণ্য রফতানি ও নকল বা নিম্নমানের পণ্য রফতানি বন্ধ করা প্রয়োজন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, হালাল শিল্পে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ শুধু বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে না, বরং বহুমুখী পণ্য উৎপাদন ও আসিয়ান বাজারে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান তৈরির সুযোগ তৈরি করবে।