শিরোনাম
ভারতের কেরালায় মস্তিষ্কখেকো জীবাণুর প্রাদুর্ভাব, ১৭ জনের মৃত্যু হকারদের পুনর্বাসনে প্রস্তুত হচ্ছে লালদিঘীরপাড় মৌলভীবাজারে পিবিআই হেফাজতে খুনের মামলার আসামির অস্বাভাবিক মৃত্যু আটগ্রামে নৌকাবাইচে নৌকাডুবিতে একজন নিখোঁজ: খুঁজছে ফায়ার ব্রিগেড সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ রোধে সাধারণ জনগণের সহায়তা কামনা করেছে বিজিবি শহীদ না হয়েও ৫২ জনের নাম শহীদ তালিকায়  সাদাপাথর লুটের মামলায় আরেকজন গ্রেপ্তার: এলাকায় গ্রেপ্তার আতংক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলো সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

https://www.emjanews.com/

9648

surplus

প্রকাশিত

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:০৩

আপডেট

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:২৫

অন্যান্য

ভারতের কেরালায় মস্তিষ্কখেকো জীবাণুর প্রাদুর্ভাব, ১৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:০৩

ছবি: সংগৃহীত।

ভারতের কেরালায় মস্তিষ্কখেকো জীবাণু নায়েগ্লেরিয়া ফাউলেরি- এর সংক্রমণে এ বছর এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। খবর গালফ নিউজ।

কেরালা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শিশুর বয়স মাত্র তিন মাস এবং সর্বাধিক বয়সী রোগীর বয়স ৫২ বছর। আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ৩৩ জন পুরুষ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগকে বলা হয় প্রাইমারি অ্যামোয়েবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস (প্যাম)। এটি মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে ফেলে।

অপরিষ্কার কুয়া, পুকুর, নদী বা অপর্যাপ্ত ক্লোরিনযুক্ত সুইমিংপুলে বংশবিস্তার করা এই অ্যামিবা নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কে পৌঁছায়।

তবে এটি একজন থেকে অন্য জনে সংক্রমিত হয় না এবং লবণাক্ত পানিতে টিকে থাকতে পারে না।

রোগটির প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া। পরবর্তীতে খিঁচুনি, হ্যালুসিনেশন ও ভারসাম্য হারানোর মতো জটিলতা দেখা দেয়।

সময়মতো চিকিৎসা না পেলে আক্রান্তরা সাধারণত প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাম বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগগুলোর একটি। সাধারণভাবে এর মৃত্যুহার ৯৭ শতাংশ হলেও কেরালায় এ হার তুলনামূলকভাবে কম- ২৪ শতাংশ।

২০২৪ সালে প্রথমবার কেরালার কোজিকোড়, মালাপ্পুরাম ও কান্নুর জেলায় এই জীবাণুর অস্তিত্ব শনাক্ত হয়।

এ অবস্থায় কেরালা সরকার জনসচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে- অপরিষ্কার জলাশয়ে সাঁতার বা স্নান না করা, হাত-মুখ ধোয়ার জন্য ফোটানো বা ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করা এবং পুকুর বা নদীতে নামলে নাকে পানি ঢোকা ঠেকাতে নোজ ক্লিপ ব্যবহার করা। পাশাপাশি প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।