তিন মাসে শেষ হবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণ
মঙ্গলবার সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে জানালেন জেলা প্রশাসক।
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৪২
ছবি: ইমজা নিউজ
দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের কাজ। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। সিলেট থেকে ঢাকা যেতে কখনো কখনো লেগে যাচ্ছে ১৫ থেকে ২৪ ঘণ্টা।
জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ না হওয়ায় গত চার বছরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি দশ শতাংশও হয়নি। তবে এবার আশার কথা জানালেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সম্প্রতি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিলেট এসেছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আশা করছি আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে সিলেট অংশের অধিগ্রহণ কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাসলাইনসহ ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ শেষ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে সড়কের কাজ পুরোদমে শুরু হবে।’
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ মহাসড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন ৮২৯ দশমিক ৮৩ একর। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ, বাকি রয়েছে ৮৫ শতাংশ।
প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে। ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর-৬ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প” নামে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ মহাসড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন ৮২৯ দশমিক ৮৩ একর। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ, বাকি রয়েছে ৮৫ শতাংশ। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে। ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর-৬ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।
এ সময় ভাঙাচোরা বাস টার্মিনালের সড়ক প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে অনেক জায়গা ভেঙে গেলেও সংস্কার করা যাচ্ছে না। আমরা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি।’
এ সময় জেলা প্রশাসক বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন। রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, টার্মিনালে জায়গা রেখে রাস্তায় গাড়ি রাখা যাবে না। আমি বলে দিয়েছি, এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার।
